চলো আমরা স্কুলে যাই,পড়া শেষে একসাথে দুপুরের খাবার খাই,এই স্লোগানকে সামনে রেখে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ১০ টাকার টিফিন শিক্ষার্থীদের মাঝে মিড ডে মিল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে, উপজেলা শিক্ষা অফিসের আয়োজনে,গৌরনদী উপজেলার পিছিয়ে পড়া,অল্প সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী ও শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত ১৬ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়া হয়েছে।১৬ টি প্রতিষ্ঠানকে রান্নার জন্য দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি।প্রথমে উপজেলার লক্ষণকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭ অক্টোবর ও পড়ে গত মঙ্গলবার ২৮নং দক্ষিন চাঁদশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত করা হয়।মিড ডে মিল কার্যক্রম ও বাস্তবায়িত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস,উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার চুন্ন ফকির,দক্ষিন চাঁদশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি কাজী শফিকুল ইসলাম,প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা বেগম ও অভিভাবকগনসহ ছাত্রছাত্রীরা অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে মিড ডে মিল কার্যক্রম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ও অংশ গ্রহন করে। উল্লেখ্য,গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বাংলাদেশ আলোকে জানান শুরু হলো স্বপ্নযাত্রা।একেকটি বিদ্যালয়।এক একটি জ্ঞানকোষ।উন্নয়েনর সিঁড়ি।আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।তাই তাদের সাফল্য।বাংলাদেশের সাফল্য।তাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি।উন্নত বাংলাদেশের বাস্তবায়নে তাদের ভূমিকা হবে অগ্রগণ্য।তাই প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে আমার ভাবনা টা যেন একটু বেশি। আসুন আমরা সবাই শিশুদের পাশে দাঁড়াই।শিশুদের যতœ করে বড় করে তুলি।একদিন তারাও এ দেশকে যতœ করে বড় করে তুলবে।দেশের মানুষকে বড় করে তুলবে।বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।তিনি আরও বলেন শিক্ষার্থীদের স্কুলে দীর্ঘ সময় ক্লাস করার পর দুপুরের খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হয়।অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে টিফিন নিয়ে না।প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষকদের স্কুলে আসতে উৎসাহিত করা, ঝড়ে পড়া রোধ করতে এবং স্কুল চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করতেই তিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন।বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য মিড ডে মিল ব্যবস্থা করা হলে তারা স্কুলে আসতে আগ্রহী হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়াসহ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় মনোযোগি,নিয়মিত স্কুলে আসার জন্য অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ উদ্যোগে স্কুল ড্রেস তৈরি করে দেবার কার্যক্রম শুরু করেছেন, যা ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।