সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

মহাদেও নদীতে অবৈধ ভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন রহস্য জনক কারনে বন্ধ হচ্ছে না

মোনায়েম খান নেত্রকোনা :
  • আপডেট সময় রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২

মহাদেও নদীর তীরে অবাধে বালু ও পাথর উত্তোলন করাতে স্থানীয় আদিবাসী ও বাঙ্গালীদের বাড়িঘর ভেঙ্গে নদীর সাথে মিশে যাচ্ছে । এই নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ^াস জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বেশ কয়েকবার লেখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এছাড়া অবৈধ বালু উত্তোলনের কারনে রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন শতশত মানুষের খোলা সাক্ষর নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছেন শেষে কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন। গত ৮-১০ সকাল ১১ঘটিকার সময় নদীর পাড়ে হাজার হাজার এলাকাবাসীকে নিয়ে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করার কারনে অনেকের বাড়ি ও দোকান পাঠ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বারবার জানিয়ে এর কোন ফায়দা হচ্ছেনা বলে জানিয়েছে কলমাকান্দাবাসী । সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মহাদেও নদী থেকে ৫০ থেকে ৬০ টি ড্রেজার বসিয়ে রাতদিন বালু উত্তোলন করছে। তা আবার সন্ধ্যা হলে শতশত ট্রাক লড়ি দিয়ে বালু পাথর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি করে দিচ্ছে। নদীর পাড় ঘেষে বড় বড় গর্ত তৈয়ার করে শতশত শিশু কিশোর ও নারী পুরুষ মিলে পাথর উত্তোলন করছে। নদীর পাড় থেকে অবাধে পাথর ও বালু উত্তোলন করাতে নদীর আশপাশের গ্রামের বাড়িঘর ভেঙ্গে নদীর সাথে মিশে যাচ্ছে। শিশু কিশোরেরা স্কুলে না গিয়ে পাথর উত্তোলন করছে । জঙ্গলের গাছ কেটে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তা আবার রাতের আধারে বিভিন্ন উপজেলায় পাচার করে দিচ্ছে। নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গ্রাম গুলোর মধ্যে সন্ন্যাসী পাড়া, জাঘির পাড়া, বিয়ারি পাড়া,মহাদেও,আয়ড়া তলীসহ এলাকার আদিবাসীদের ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম ভেঙ্গে নদীর সাথে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকার ভুক্তভোগীদের নিরব কান্না কেউ শুনছেনা।এই মুহূর্তে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা না নিলে আর এই ভাবে পাথর বালু উঠানো চলতে থাকলে কলমাকান্দা উপজেলায় কয়েক বছরের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বাড়ি ভিটে হারা হয়ে রাস্তায় নেমে পরবে। কলমাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা চন্দন বিশ^াস বলেন আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কয়েকটি লিখিত অভিযোগ করেছি জেলা প্রশাসক মহোদয় বন্ধ করার। এ ব্যাপারে কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাশেম বলেন এই পর্যন্ত ১৭টি মোবাইল কোর্টে অভিযান করে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে ও দুই জনকে জেলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযান সব সময় অভ্যাহত আছে অবৈধ কিছু পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com