লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে গোল্ডেন ডাক মেরেছেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অধিনায়কের আউটের পেছনে দায় রয়েছে আম্পায়ারদেরও। রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে সাকিবের ব্যাট ছুঁয়েছে বল। তবুও থার্ড আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত দেন। বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও জনপ্রিয় ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া টুইটারে লিখেছেন, ‘সাকিবের ব্যাট গ্রাউন্ডও স্পর্শ করেনি। ব্যাটের ছায়াতে লক্ষ্য করুন। ব্যাটে বল লাগা ছাড়া আর কিছুই হয়নি। আম্পায়ারের একটি বাজে সিদ্ধান্তের শিকার হলো বাংলাদেশ।’
আকাশ চোপড়ার টুইটের রিপ্লাইয়ে অনেক ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘স্পষ্টতই ধোঁকাবাজি হলো।’ একজন লিখেছেন, ‘ছবিটা জুম করলেই বোঝা যায়। এটা আউট হয়নি। ধোঁকা।’ এক ভারতীয় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ, আমরা তোমাদের হয়ে ফাইনালে প্রতিশোধ নেবো। যেমনটা ১৯৭১ সালে তোমাদের স্বাধীন করেছিলাম আমরা।’
পাকিস্তানের এক মন্তব্যকারী ভারত-বাংলাদেশের বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের জের টেনেছেন। তিনি আকাশ চোপড়ার টুইটের রিপ্লাইয়ে লিখেছেন, ‘আকাশ ভাই এতো কথা বলছেন কেনো আপনি? ভারতের সময় তো আপনার মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’ সেই মন্তব্যের প্রত্যুত্তরে এক ভারতীয় লিখেছেন, ‘কখন চিটিং করলো ভারত? যা খুশি বলে ফেলেন।’ যদিও আকাশ চোপড়া বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচশেষে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। অবস্থা এমন যে, বাংলাদেশের বিপক্ষেই যায় আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ভেজা মাঠেই ব্যাটিং করানো হয়েছে টাইগারদের। এমনকি বিরাট কোহলির ফ্রেক থ্রোয়ে আইসিসির নিয়মানুসারে পেনাল্টি রান পায়নি বাংলাদেশ। এবার সাকিবের বিতর্কিত এলডব্লিউ’র সিদ্ধান্ত দিলেন আম্পায়াররা।
নেটিজেনদের মতে, পাকিস্তান-ভারত সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনাল খেললে আইসিসির তুলনামূলক লাভ বেশি হবে। যেকারণে ভারত-পাকিস্তানের পক্ষ নিচ্ছে আম্পায়াররা। আকাশ চোপড়ার টুইটের রিপ্লাইয়ে শিরি আব্বাস নামের একজন লিখেছেন, ‘যে করেই হোক আইসিসি ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল চায়। খুবই বাজে আম্পায়ারিং।’ তারেক মাসুম নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুকে লেখা হয়েছে, ‘আইসিসির টুর্নামেন্টগুলোর মূল উদ্দেশ্য হলো টাকা কামানো। বড় দল বাদে কে জিতলো, কে হারলো সেটা তাদের দেখার বিষয় নয়। ভারত-পাকিস্তান খেললে লাভ বেশি হবে। সেখানে বাংলাদশে, জিম্বাবুয়ের মতো ছোট দলগুলো সেমিতে গেলে প্রতিযোগিতা কমে যাবে!’