সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

বরগুনায় শুঁটকি পল্লীতে ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান

বাসস:
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২

উপকূলীয় বরগুনায় শুঁটকি তৈরির কাজে প্রায় ২০ হাজার মানুষের (জেলে ও শ্রমিক) কর্মসংস্থান হয়েছে। জেলার তালতলী উপজেলার আশারচর, নিদ্রা, সোনাকাটা, জয়ালভাঙ্গা, বরগুনা সদরের বালিয়তলী, পাথরঘাটা উপজেলার হরিনঘাটা, লালদিয়ার চরে এখন শুঁটকির ভরা মৌসুম চলছে। সাধারণত শুঁটকি পল্লীতে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস ধরে চলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের কাজ। এই কাজে শ্রমিকরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। স্থানীয় আড়তদাররা জানান, প্রতিটি শুঁটকি পল্লী থেকে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ মণ মাছ দেশের বিভিন্নস্থানে রপ্তানি হচ্ছে।
শুঁটকি শ্রমিকরা জানিয়েছেন, নদী থেকে কাঁচা মাছ শুঁটকি পল্লীতে নিয়ে আসার পর নারী শ্রমিকরা সেগুলো পরিষ্কার করেন। এরপর মাছগুলো পরিস্কার পানিতে ধুয়ে মাচায় শুঁকানো হয়। তিন-চার দিনের রোদে মাছগুলো শুঁকিয়ে শক্ত হয়।
প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছের শুঁটকি তৈরি করা হয় এখানে। এর মধ্যে রূপচাঁদা, ছুরি, কোরাল, সুরমা, লইট্টা ও পোয়া অন্যতম। এছাড়াও চিংড়ি, ভোল, মেদসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছেরও রয়েছে অনেক চাহিদা। এই চরের শুঁটকি চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর, খুলনা ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। প্রস্তুত করার সময় কোনো প্রকার কীটনাশক বা অতিরিক্ত লবণ দেয়া হয় না বলে এই এলাকার শুঁটকির চাহিদা একটু বেশি থাকে। এছাড়া এখানকার শুঁটকি মাছের গুড়া সারাদেশে পোল্ট্রি ফার্ম ও ফিস ফিডের জন্য সরবরাহ হয়ে থাকে। ব্যবসায়িরা জানান, বর্তমানে প্রতি কেজি ছুরি মাছের শুঁটকি ৭০০-৮০০ টাকা, রূপচান্দা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার, মাইট্যা ৮০০ থেকে এক হাজার, লইট্যা ৬০০ থেকে ৭০০, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৯০০ এবং অন্যান্য ছোট মাছের শুঁটকি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুঁটকি ব্যবসায়ীদের দাবি এখান থেকে সরকারিভাবে এসব শুঁটকি বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। কারণ দেশ থেকে সরকারিভাবে শুঁটকি রপ্তানির কোনো ব্যবস্থা নেই। এ ব্যাপারে তালতলীর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম জানিয়েছেন, সরকারিভাবে শুঁটকি রপ্তানির জন্য মৎস্য অধিদফতরে সুপারিশ পাঠানো হবে।
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, বরগুনার বিভিন্ন চরে শুঁটকি পল্লীতে বিভিন্নভাবে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নদী ও সাগরে প্রায় ২০ হাজার জেলে, বিভিন্ন চরে হাজারেরও বেশি শ্রমিক নিরলস কাজ করছেন। ব্যবসায়ি আড়তদারসহ আরও কয়েক হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা এই শুঁটকিতে জড়িত রয়েছে। জেলে ও ব্যবসায়ীরা যাতে নির্বিঘেœ ব্যবসা করতে পারেন সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com