গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতা মোঃ খালিদ হাসান ইমন(৩৪) ও তার সহযোগী মোঃ রুবেল মৃধাকে আটক করেছে বিএমপি এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। এসময় তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে বিপুল পরিমান চোরাই মালামাল ও ঘর ভাঙার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। আটক মোঃ খালিদ হাসান ইমন(৩৪) পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে ও মোঃ রুবেল হোসেন মৃধা(২৫) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কয়ারচর গ্রামের জলিল মৃধার ছেলে। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এয়ারপোর্ট থানায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার। উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার জানান, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ খালিদ হাসান ইমন(৩৪) দীর্ঘদিন যাবত বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় দিনের বেলায় সিঁধ কেটে চুরি করত।গত অক্টোবর মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বরিশালের ফিসারী রোড এলাকায় ৭/৮ টি বাসায় চুরি করে বিপুল পরিমান স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়েছে।এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বরিশাল সহ চট্রগ্রামের বিভিন্ন থানায় প্রায় ১০টি মামলা চলমান রয়েছে। চট্রগ্রামে তার বিরুদ্ধে ৯টি মামলা রয়েছে।তার মধ্যে একটি মামলায় সে ৩ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি। ২ বছর সাজা খেটে জামিনে বের হয়ে বরিশালে এসে বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় চুরি ডাকাতি করছে। বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানায়ও একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়াও তার সহযোগী রুবেল হোসেন মৃধার নামেও বরিশালের বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরির মামলা আছে। এ সময় তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার বরিশাল নগরীর ২৩নং ওয়ার্ড এলাকার মাওলানা ভাসানী সড়ক সোহরাব খান হাউজিং এর বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আবিরের বাসা থেকে আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূল হোতা মোঃ খালিদ হাসান ইমন ও তার সহযোগী রুবেল মৃধাকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে তাদের কাছ থেকে চোরাই নগদ ৫০ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার, ১৪ টি হাত ঘড়ি, ১টি মোটর সাইকেল, ৮টি মোবাইল সেট, ৩ টি এলইডি টিভি সহ বিপুল পরিমান চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার জানান,আটক আসামীদেরর বিরুদ্ধে বিএমপি এয়ারপোর্ট থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। সংবাদ সম্নেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএমপি এয়ারপোর্ট থানার ওসি হেলাল উদ্দিন, ওসি (তদন্ত) মোঃ আমানুল্লাহ আল-বারী সহ এয়ারপোর্ট থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।