বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্য পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর হিসেবে অতুলনীয় মান ধরে রেখেছে। সারাবিশ্বের মানুষের কাছে হালাল পণ্য বেশ জনপ্রিয়। এটি কেবল মুসলিমদের কাছে নয়। স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড মেট্রোলজি ইনস্টিটিউ ফর ইসলামিক কান্ট্রির (এসএমআইআইসি) এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ মন্তব্য করেছেন। তুরস্কের সরকারি সংবাদসংস্থা আনাদুলু অ্যাজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হালাল পণ্যের আন্তর্জাতিক আগ্রহ প্রতিদিন বিশাল আকারে বাড়ছে বলে জানিয়েছেন এসএমআইআইসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও তুর্কি স্ট্যান্ডার্ডস ইনিস্টিটিউশনের (টিএসই) প্রধান মাহমুদ সামি সাহিন। অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) উদ্যোগে ইস্তাস্বুলে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড হালাল সামিটে আনাদুলু এজেন্সিকে তিনি এ কথা বলেন। হালাল বলতে সেসব পণ্য ও সেবাকে বুঝায় যা ইসলামিক নির্দেশনা যথাযথ মানা হয়। শাহিন বলেন, এসব শর্ত কেবল পরিপূর্ণ ধর্মীয় বলার সুযোগ নেই। বরং এটি বিশ্ববাজারের বিশাল এলাকা দখল করে আছে।
ওয়ার্ল্ড হালাল সামিট কাউন্সিলের তথ্যমতে, বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের বাজার ইসলামী অর্থনীতি, খাবার, টুরিজম, প্রসাধনী, মেডিক্যাল সরঞ্জাম ও টেক্সটাইলসহ সর্বমোট সাত বিলিয়ন ডলার। বর্তমান এক্সপো ও সামিটের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ উপস্থিতি হয়েছে। হালাল পণ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী সাড়া জাগানোয় তিনি ধন্যবাদ জানান। ধর্মীয় কারণে মুসলিমরা হালাল পণ্যের ব্যাপারে বেশ সতর্ক। তিনি বলেন, মানুষ হালাল পণ্য পেতে চায়। এজন্য তাদের হালাল পণ্যের বাজারে অনুমতি দরকার। এই প্রয়োজনকে সামনে রেখে তুরস্কে ২০১০ সালে ১৩টি দেশকে নিয়ে এসএমআইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিকে তিনি মহৎ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন। এটি ইসলামিক নিয়মনীতি পরিপূর্ণভাবে মেনে একটি কাঠামো গঠনের উদ্দেশে গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এসএমআইসিসি এখনো পর্যন্ত ৫০টি স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশ করেছে। যেগুলো তুরস্ক দেখভাল করে আসছে। সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর