বিশ্বসেরা খেলোয়াড় তো তাদেরই বলে যারা দলের প্রয়োজনে জ্বলে উঠবেন। মেসিকে কেন তর্ক সাপেক্ষে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলা হয় তা যেন আরো একবার প্রমাণ করলেন তিনি। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে জয় পেতেই হবে মেক্সিকোর বিপক্ষে। এমন কঠিন মুহূর্তে দল যখন ৬০ মিনিটেও গোল পাচ্ছিল না ঠিক তখনই যেন আলোকবর্তিকা হয়ে আর্জেন্টিনার স্বপ্নের পারদে ঢেউ লাগান মেসি। মেসি এবং এনজো ফার্নান্দেজের করা গোলেই মেক্সিকোকে ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপে টিকে রইল আর্জেন্টিনা। পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে এদিন মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলতে নামে স্কালোনির দল। মেসিদের বিপক্ষে ৫ ডিফেন্ডারের কৌশল নিয়ে দল সাজায় মেক্সিকোর আর্জেন্টাইন কোচ টাটা মার্টিনো।
বল দখলে মেসিরা শুরু থেকে এগিয়ে থাকলেও পুরো ম্যাচে একটিও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। বরং মেসিদের থেকে উজ্জ্বল ছিল মেক্সিকো। ১৪ মিনিটে মাঝনাঠের বাইরে থেকে নেয়া মেক্সিকান ভেগার ফ্রি কিক থেকে বল ডিক্সের ভেতরে গেলেও আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সেটি দ্রুত গতিতে লুফে নেন।
আগের ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে পোল্যান্ডের জয়ে এই ম্যাচে তাই জিততেই হবে আর্জেন্টিনাকে। ৩৩ নিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া মেসির ফ্রি কিক ওচোয়া পা করে ক্লিয়ার করেন৷ ৪০ মিনিটে কর্নার থেকে ডি মারিয়ার ক্রসে লাউতারো মার্টিনেজের হেড খুজে পায়নি গোলের দেখা। খেলা শেষের এক মিনিট ডি বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। ভেগার দুর্দান্ত ফ্রি কিক ডান পাশে লাফিয়ে দুর্দান্তভাবে গ্লাভস বন্দী করেন এমি মার্টিনেজ। গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের জন্য চাপ বাড়াতে থাকে আলবিসেলেস্তারা। ৫৩ মিনিটে ডিবক্সের বাইরে থেকে মেসিকে ফাউল করা হলে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেস্যার বা পায়ের ফ্রি কিক গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। এর ঠিক ১১ মিনিট পরেই আসে মেসির সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ডি মারয়ার পাস থেকে দুর্দান্ত শটে ডিবক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মেসি।
গোল দিয়ে আর্জেন্টিনা কিছুটা রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করে। মেক্সিকোর সুযোগগুলো রক্ষণভাগেই শেষ করে দিচ্ছিল আর্জেন্টিনা। ম্যাচ যখন শেষের দিকে ১-০ ব্যবধানে আগাচ্ছে ঠিক তখনই আবার গোল করে আর্জেন্টিন। এবার মেসির বাড়ানো বলে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করলেন বেনফিকার আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রংধনু শটে অসাধারণ এক গোল করেন এনজো ফার্নান্দেজ। তার অসাধারণ গোলে আর্জেন্টিনা পায় ২-০ গোলের লিড। ম্যাচের শেষে আর কোন গোল না হলে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। বিশ্বকাপের নক আউট রাউন্ডে যেতে আর্জেন্টিনাকে পরের ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষেও জিততে হবে।