পটুয়াখালীর বাউফলের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৮বছর যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকায় ভবনের দরজা, জানালা, স্কুল বেঞ্চ সহ নানা উপকরন নষ্ট ও চুরি হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের চোখের সামনে এমন ঘটনা ঘটলেও ভবন অপসরন কিংবা রক্ষার কোন উদ্যোগ নেই সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কেশবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরিপাশা মুন্সী হাচান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগের অভাবে ধীরে ধীরে সরকারি স¤পদ ধ্বংস হচ্ছে। জানা যায়, সেখানে নতুন ভবন তৈরি হওয়ায় পরিত্যক্ত ভবনটি আর ব্যবহার হচ্ছে না। দীর্ঘ ৮বছর যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। নতুন ভবনে চলে শিক্ষা কার্যক্রম। রহস্যজনক কারনে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভবনটি নিলামের জন্য কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না। দীর্ঘদিন অবহেলায় অযতেœ পড়ে থাকায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে সরকারি সম্পদ। ভবনের দরজা-জানালা কিছুই নেই। চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহার বেঞ্চ, টেবিল, চেয়ার ও জানালার লোহার গ্রিল। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, ‘বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির দায়িত্বহীনতার জন্য সরকারি সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রায়ই ঘটছে চুরির ঘটনা। শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উচিত এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভবনটি দরজা-জানালাবিহীন থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে যা অত্যান্ত ঝুঁিকপূর্ণ। যেকোন সময় ছাদ ও দেয়াল ধসে দুর্ঘটা ঘটতে পারে। এবিষয়ে বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন,‘ বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসে জানানো হয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুজন হাওলাদার বলেন, ‘ উপজেলা নিলাম কমিটিকে জানিয়ে ভবনটি নিলামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবিষয়ে উপজেলা নিবাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আল-আমিন বলেন, ‘সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হওয়ার কোন সু-যোগ নেই। এবিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সচেতন মহল মনে করেন, ব্যবহার অনুপযোগী পুরাতন ও পরিত্যক্ত এসব ভবন বিক্রি করা হলে একদিকে যেমন বিপুল পরিমান অর্থ পাওয়া যাবে অপরদিকে স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিরাপদে চলফেরাসহ খেলার যায়গা পাবে এবং বিদ্যালয়ে সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরে আসবে।