শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

শরীয়তপুরে পুত্রবধূর ঘরে শ্বশুরের তালা, পথে পথে ঘুরছেন প্রবাসীর স্ত্রী

মঞ্জুরুল ইসলাম রনি শরীয়তপুর :
  • আপডেট সময় বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় গত এক সপ্তাহ যাবত পুত্রবধূর ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শ্বশুর আবু বকর ফকির। প্রবাসীর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার এখন নিরুপায় হয়ে বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ফাতেমা বিনোদনপুর ইউনিয়নের বাছারকান্দী গ্রামের প্রবাসী চাঁনমিয়া ফকিরের স্ত্রী। এর আগেও শ্বশুর আবু বকর ফকির ও শ্বাশুড়ি রিজিয়া বেগমের বিরুদ্ধে গৃহবধূ ফাতেমাকে একাধিক বার নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পালং মডেল থানায় শ্বশুর শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন গৃহবধূ ফাতেমা। এরপরেও নির্যাতন থেকে রেহাই মেলেনি ফাতেমার। জানা গেছে, প্রায় দশ বছর হয় চাঁনমিয়া ও ফাতেমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর চাঁনমিয়া বিদেশ চলেন যান। আর ফাতেমা ঢাকায় চাচার বাসায় থেকে লেখাপড়ার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ২০২০ সালের শুরুর দিকে ফাতেমা ঢাকা থেকে শ্বশুর বাড়ি চলে আসেন। এরপর শ্বশুর বাড়িতে ঘর তুলে আলাদা বসবাস করতে থাকেন ফাতেমা। ফাতেমা অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর শ্বাশুড়ি আমাকে মেনে নিতে পরছিলেন না। আমার স্বামী বিদেশ থাকায় শ্বশুর শ্বাশুড়ি নানা ভাবে আমাকে অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। তারপরও আমি সংসারের কথা চিন্তা করে স্বামীর সংসার করতে থাকি। তারা আমার স্বামীর সংসার থেকে আমাকে বিতারিত করার নানা রকম চেষ্টা করেন। এর আগেও তারা আমার স্বামীর আগের দুই স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। যা বিয়ের পরে আমি জানতে পেরেছি। গত ১০ অক্টোবর শ্বশুর শ্বাশুড়ি মিলে মারধর করে স্বামীর বাড়ি থেকে আমাকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন। তখন আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। শত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে না যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) শ্বশুর আবু বকর ফকির আমার ঘরে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর থেকে আমি পথে পথে ঘুরছি, আমি আমার ঘরে ঢুকতে পরছিনা। আমার স্বামী বিদেশ রয়েছেন। আমি এখন নিরুপায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে শ্বশুর আবু বকর ফকির বলেন, আমি জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশ পাঠিয়েছি। সেই ছেলে এখন আমাদের খোঁজখবর নেয়না। টাকা পয়সাও দেয়না। তাই আমি আমার বাড়িতে ছেলে ও ছেলের বউকে থাকতে দিবোনা। এ কারণে আমি তার ঘরে তালা লাগিয়েছি। পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com