রাজধানীর ওয়ারী থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল মেহবুব মিজুকে বাসায় না পেয়ে তার বৃদ্ধ পিতা মো. মিল্লাত হোসেনকে (৬৭) পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার রাত ১২টার পর রাজধানীর ওয়ারী থানার ৩৮নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কমিশনারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতারা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন নিহত মো. মিল্লাত হোসেনের ছেলে ফয়সাল মেহবুব মিজু। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি স্ট্রোক করে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আর এতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ফয়সাল মেহবুব মিজু বলেন, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলা চালানো হয়। প্রায় অর্ধ শতাধিক আওয়ামী লীগের লোক আমাকে মারার জন্য আমার বাসায় যায়। কিন্তু তারা আমাকে না পেয়ে আমার বাসায় ভাঙচুর চালায়। তারা বাসা থেকে বের হওয়ার সময় আমার বাবাকে কিছু একটা দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত করেছে। যার ফলে অনেক ব্লিডিং হয়েছে। রক্তে পুরো ঘর ভেসে গেছে। আমার বাবা একজন সাধারণ নিরপরাধ মানুষ। কখনও কোনও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এসময় তার এক চাচাকেও তুলে নেওয়ার অভিযোগ করেন যুবদলের সাবেক এই নেতা। তিনি বলেন, তার এখনও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে তার বাবা মারা গিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘জানি এই হত্যাকা-ের বিচার পাবো না। তবুও আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। যারা আমার নিরপরাধ বয়স্ক বাবাকে হত্যা করেছে এই দুনিয়ায় বিচার না পাইলে আল্লাহ একজন আছেন, তিনি অবশ্যই শেষ বিচার করবেন। কী দেশে আছি , মধ্যে রাতে কেউ কারো বাসায় গিয়ে এভাবে হামালা চালায়? মানুষ খুন করে? আমাদের কি সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার বা রাজনীতি করার অধিকার নেই?’
এ বিষয়ে ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মিল্লাত হোসেন হৃদ্রোগে আক্রান্ত ছিলেন, তাঁকে পেটানো হয়নি। তিনি স্ট্রোক করে নিচে পড়ে গেলে মাথায় আঘাত পান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি কবির হোসেন দাবি করেন, অজ্ঞাতনামা লোকজন ফয়সলকে না পেয়ে তাঁর চাচাকে আটক করে ওয়ারী ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। তারা ওয়ারী পুলিশকে বলে, গতকাল নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহাদত জড়িত। পরে ওয়ারী ফাঁড়ির পুলিশ শাহাদতকে ওয়ারী থানায় সোপর্দ করে। তবে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহাদতের জড়িত থাকার সত্যতা না পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।