কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ডিগ্রীরচর গ্রামে ও ভারতের শিঙ্গিমারী কালি আলগা ক্যাম্প সংলগ্ন ১০৫১-১০৫২ নং মেইন পিলার মাঝামাঝিতে ব্রম্মপুত্র থেকে দক্ষিণ দিকে বয়ে গেছে হলহলিয়া নদী। বর্ষা বন্যায় আতঙ্কে রৌমারী দাঁতভাঙ্গা, চরশৌলমারী, বন্দবেড় ও আংশিক রৌমারী ইউনিয়নের প্রায় ২৫ কিঃ মিঃ বিস্তৃত হলহলিয়া নদীর তীববর্তী এলাকাসহ অন্যান্য এলাকার প্লাবিত মানুষ। ভারত বাংলার মাঝামাঝিতে নদীর মুখে বেড়িবাঁধ না থাকায় নদী ভাঙ্গন ও কৃষি খাতের ক্ষতিতে থাকে প্রায় লক্ষাধীক মানুষ। বেড়িবাঁধের অভাবে ৪ ইউনিয়নের জনগনের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাঁধ নির্মান না হওয়ায় অত্র এলাকার মানুষের ক্ষোভেরও অন্তঃনেই নেতৃতা¡দানকারী বড়বড় কর্তাদের উপর। বাঁধের অভাবে প্রতিবছরেই কৃষি, নদী ভাঙ্গন, ঘরবাড়ী ও জমিজমার ব্যাপক ক্ষতি হয়। ডিগ্রীরচর এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ শাহাবুর রহমান মাষ্টার, ডাক্তার হাবিবুর রহমান, আব্দুল মতিন, তাইজুল ইসলাম, জাফর আলী, ওয়াহেদ আলী, মেম্বার হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, প্রতিবছর ব্রম্মপুত্র নদ উপচে হলহলিয়া নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেয়ে এলাকা প্লাবিত হয়ে তলিয়ে যায় ছোট বড় পুকুর। পানি উঠে নষ্ট হয়ে যায় কাঁচা আধা পাকা ঘরবাড়ি ও হাজার হাজার ফসলের ক্ষেত ও ভেঙ্গে যায় নদীর তীর। ডিগ্রীরচর ব্রম্মপুত্র ও হলহলিয়ার মুখে বেড়িবাঁধ না থাকায় লোকজন চরম আতঙ্কে থাকেন। দীর্ঘদিনের এলাকাবাসীর দাবীতে ১০ ডিসেম্বর দুপুর ২ টায় ডিগ্রীরচর চুলকানির খালে বেড়িবাঁধ নির্মানের উদ্দেশ্যে পরিদর্শন করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাকির হোসেন এমপি। শনিবার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর ব্রম্মপুত্র ও হলহলিয়া নদীর মুখে বেড়িবাঁধ নির্মানে পরিদর্শন করে, চুলকানির খাল নামক স্থানে এরশাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় যোগদান করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী ইমন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জেলা প্রকৌশলী আব্দুল্যাহ আল মামুন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুবণ আখতার, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার স্মৃতি, পুরুষ ভাইচ চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজনসহ প্রমুখ। আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাকির হোসেন এমপি বলেন, হলহলি নদীর চুলকানির খালে এর আগে দুইবার বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়েছিল। প্রবল বন্যার পানির ¯্রােতে ভেঙ্গে যায়। কিছু দিন আগে জেলা প্রকৌশলীর লেকজনের মাধ্যমে রাস্তাসহ বেড়িবাঁধ নির্মানের জন্য মেপে নিয়ে গেছে। জেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ে বেড়িবাঁধ নির্মানে বরাদ্দের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে আমি চেষ্টা করবো আগামী সপ্তাহে বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করার।