গাজীপুরের কালীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরুদের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী তৌহিদুল ইসলাম(১৩), বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সানজিদ(১৮), তার মা রাশেদা বেগম(৪৫), দিনমজুর চাচা নজরুল ইসলাম(৫৩) ও মঞ্জুর হোসেনকে পিটিয়ে হাত ভাঙ্গাসহ গুরুতর আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে উপজেলার বক্তারপুর ইউনিয়নের খৈকড়া গ্রামের কোনাপাড়া এলাকায় মৃত ফাইজুদ্দিন বাউলের বাড়িতে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি মমলা প্রক্রিয়াধীন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপর (কালীগঞ্জ-কাপাসিয়া) সার্কেল ফরজানা ইয়াসমিন এর মুঠো ফোন একাধিকবার ফোন ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় রবিবার বিকেলে প্রতিবন্ধীর বাবা মোজাম্মেল হোসেন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভোক্তভুগীরা জানান, এ সংক্রান্ত ঘটনায় আরিফ হোসেন ও শরীফ হোসেন কে শনিবার রাতে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে ক্ষমাতার দাপট দেখিয়ে অভিযুক্ত আরিফ ও শরীফকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে উপজেলা মহিলা আ’লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক শিখা আক্তারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক নানা বিষয়াদী নিয়ে মোজাম্মেলদের সাথে আরিফ, ছাইদুল, শরীফ ও তাইজুদ্দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে শনিবার বিকেলে আরিফের ছেলে আরাফাত ও মোজাম্মেলের ছেলে সানজিদ বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় আরিফের ৬ বছর বয়সের শিশু ছেলে আরাফাত বাসায় গিয়ে বলে সানজিদ আমাকে মেরেছে। পরে আনুমানিক ৬ টার দিকে আরাফাতের বাবা সানজিদকে ঘর থেকে ধরে তাদের বাড়িতে নিয়ে এলোপাথারী মারধর করে ইট দিয়ে সানজিদের বাম হাত ভেঙ্গে ফেলে। ছেলের চিৎকারে তার মা রাশেদা বেগম দৌড়ে তাদের বাড়িতে গেলে তাকেও এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন অংশে নিলাফুলা জখমসহ টানা হেছড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। বাড়ির লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানা পুলিশকে অবহগত করে বাড়ি ফেরার পথে অভিযুক্তদের বাড়ির সামনে পৌছলে পূর্বথেকে ওৎফেতে থাকা আরিফ, সাইদুল, শরীফ, তাইজুদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জন মিলে নজরুলকে একা পেয়ে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, লাঠি সোঠা নিয়ে এলোপাথারীভাবে মারধর করে হাত ভাঙ্গাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় তার ছোট ভাই মঞ্জুর এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাথারী মারধর করে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আখন্দ ফারুক বলেন- ভোক্তভুগী আমার কাছে এসেছিল। ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক।