মহেশখালীর মহিষ চুরি মামলায় শাহারবিল ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালাত। ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশখালীর মহিষ চুরির মামলায় চকরিয়া উপজেলা আলীগ নেতা ও শাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবী হোছাইন চৌধুরীর জামিন না মঞ্জুর করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবুল মনসুর সিদ্দিকী তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তাকে কারাগারে প্রেরণের খবর বাহিরে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় বইছে। জানা যায়, মহিষ চুরির অভিযোগে নবী হোছাইন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় এক ব্যক্তি মামলা করেন। ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন। মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার নি¤œ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন আবেদন করেন নবী হোছাইন চৌধুরী। বিজ্ঞ আদালত তার আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, নবী হোছাইন চৌধুরী স্থানীয় সংসদ সদস্যের আশীর্বাদপুষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত এবং তাকে নব্য চোরা হিসেবে চিনেন। তার বিরুদ্ধে গরু চুরির মামলাও রয়েছে। এসবের মাঝেও ভোটে তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। অনেকেই এফবি’তে স্ট্যাটাসটি দিয়ে জানান দেন গরু চোর থেকে মহিষ চোর মামলায় শাহারবিলের ইউপি চেয়ারম্যান নব্যা কারাগারে! এলাকাবাসীর ভাষ্য মৃত হাবিবুর রহমান প্রকাশ হাইব্বা চোরার পুত্র নবী হোছাইন চোধুরী প্রকাশ নব্য চোরা শুধু, গরু, ছাগল ও মহিষ চুরি ছাড়াও জবর দখল, চাঁদা ও সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বালি উত্তোলনসহ বিভিন্ন অপকর্মের মুলহোতা। এমন কি তার বাসভবনে পশ্চিম পার্শ্বে বিদ্যুৎতের সাবস্টেশন নির্মাণে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ও অবৈধভাবে বালি ভরাটের দায়ের পরিবেশ মামলাও হয় বলে সুত্র জানায়। বালি ভরাটের কাজে নিয়োজিত ড্রেজার ও আনুসাঙ্গিক প্রায় কোটি টাকার মালামাল ক্ষমতার জোর পূর্বক জব্দ করে রেখে সাবাশী করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। প্রকৃত মালিক পরবাসে। এরপূর্বেও একটি ভাড়ায় বলগেট কেটে স্ক্র্যাপ বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। তাকে কারাগারে প্রেরণের খবরে এতদাঞ্চলে মিষ্টি বিতরণের খবর ছড়িয়েছে।