জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতের দ্বারস্থ হলে আদালত শুনানী শেষে অভিযোগকৃত জমিতে উভয় পক্ষকেই না যেতে সেই জমির উপর ১৪৪ ধারা জারির নির্দেশ দিয়ে আগামী ১১ জানুয়ারী ২০২৩ ইং তারিখে পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন। এরই প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ নালিশী সম্পত্তিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নিমিত্তে উভয় পক্ষকে নোটিশও প্রদান করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ ও থানার নোটিশ কোনো কিছুরই তোয়াক্ক না করে একটি পক্ষ ইমারত নির্মানের কাজ অব্যাহত রেখেছেন-এমন অভিযোগ করেন উজ্জল চৌধুরী নামে এক ভুক্তভোগি। এতে যে কোনো সময় সেখানে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও শহরের হাজীপাড়ার। উজ্জল চৌধুরী হাজীপাড়া এলাকার মৃত-ডা: রশিদুল হুদা চৌধুরীর ছেলে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পৈতৃক সুত্রে পাওয়া তার অংশের সাড়ে পাঁচ শতক জমির উপর তার সৎ বড় ভাই মো: হারুন চৌধুরী জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মান করছেন। তিনি আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করছেন না। তিনি বলেন, স্থাপনা নির্মানের শুরুতেই তিনি এ বিষয়ে আদালতের স্মরনাপন্ন হলে আদালত মিস পিটিশন নং-৫৫৯/২২, ধারা-ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৪ এবং স্মারক নং-৭৯১, তারিখ:১২/১২/২২ ইং মূলে নালিশী জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। সেই প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের এসআই মো: মামুনুর রশিদ (পিপিএম সেবা) গত ১৩ ডিসেম্বর উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখতে নোটিশও প্রদান করেন। কিন্তু এর কোনো কিছুই তিনি মানছেন না। আদালতের নির্দশ অমান্য করে তিনি নির্দ্বিধায় ইমারত নির্মান কাজ চালু রেখেছেন। উজ্জল চৌধুরীর স্ত্রী আমিনা ইয়াসমীন ববি জানান, শুধু তাই নয়, তারা আমাদের রড-সিমেন্টের দোকান ঘরের ভিতর দিয়ে এসি সংযোগ লাইন স্থাপন করেছেন-এতে রডের উপর পানি পড়ে মরিচা ধরছে।একাধিকবার অভিযোগ করেও এর কোন ফল হচ্ছে না। পৌরসভা, উপজেলা পরিষদে অভিযোগ করলেও হারুন চৌধুরী কারও কথাই শুনছেন না। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছেন এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধের দাবি জানান। এ বিষয়ে কথা বলতে হারুন চৌধুরীর বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন জানতে পেরে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে একই নোটিশ প্রাপ্ত হারুন চৌধুরীর ভাড়াটে ও দেশ এক্সরে ক্লিনিকের মালিক মো: হাবিব জানান, আমি ভাড়াটে। আমার নামে নোটিশ কেন আসলো-বিষয়টি আমি বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে জানতে সদর থানার এসআই মো: মামুনুর রশিদের (পিপিএম সেবা) সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে থানা থেকে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার শর্তে নালিশিী জমিতে ১৪৪ ধারা বলবতের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ সেখানে স্থাপনা নির্মান কাজ অব্যাহত রাখেন তাহলে অপর পক্ষকে প্রমানস্বরূপ থানায় জিডি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।