জেলায় চলতি রবি মৌসুমে সরকার রেকর্ড পরিমাণ প্রণোদনা দিয়ে কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য মাঠে নেমেছে। জেলায় ২৭ হাজার ১০০ কৃষকদের মধ্যে প্রণোদনা সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। সরকার ১ কোটি ৯২ লাখ ৭৪ হাজার ১০০ টাকা প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ দিয়েছে। প্রধানত সার ও বীজ কেনার জন্য এই প্রণে াদনার অর্থ ব্যায় করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো, মনিরুল ইসলাম জানান, জেলার ৪টি উপজেলায় গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমূখী, চিনাবাদাম, সয়াবিন, মুগ, মুসুর ও খেসারী ডাল চাষাবাদের জন্য ১৩ হাজার ১০০ জন কৃষককে ১৩ হাজার ১০০ বিঘা জমি চাষের জন্য ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৩ হাজার ১০০ টাকা বরাদ্দ বিতরণ করা হয়েছে। বোরো ধান উচ্চ ফলনশীল ৬ হাজার বিঘা অতিরিক্ত চাষাবাদের জন্য ৬ হাজার কৃষককে ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার প্রণোদনা বরাদ্দ এবং বোরো হাইব্রিড চাষাবাদের জন্য অতিরিক্ত ৮ হাজার একরে চাষাবাদের জন্য ৮ হাজার কৃষককে ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বিঘা প্রতি চাষের জন্য ১জন কৃষক গম চাষের জন্য ২০ কেজি গম বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপিসহ মোট ২০ কেজি সার দেয়া হয়েছে। ভুট্টা চাষের জন্য ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপিসহ ৩০ কেজি সার দেয়া হয়েছে। সরিষা চাষের জন্য ১ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপিসহ ২০ কেজি সার দেয়া হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে ১ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপিসহ ২০ কেজি সার দেয়া হয়েছে। চিনা বাদাম চাষের ক্ষেত্রে বিঘা প্রতি ১০ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপিসহ ১৫ কেজি সার দেয়া হয়েছে। সয়াবিন চাষে ৮ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপিসহ ২০ কেজি সার দেয়া হয়েছে। মুগ ডাল ক্ষেত্রে ৫ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ০৫ কেজি এমওপিসহ ১৫ কেজি সার দেয়া হয়েছে। মুসুর ডাল ৫ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ০৫ কেজি এমওপিসহ ১৫ কেজি সার দেয়া হয়েছে। খেসারী ডাল ৮ কেজি বীজ ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপিসহ ১৫ কেজি সার দেয়া হয়েছে।
উচ্চ ফলনশীল বোরো চাষের জন্য ৫ কেজি বীজ ধান ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপিসহ ২০ কেজি সার দেয়া হয়েছে এবং হাইব্রিড বোরো চাষে বিঘা প্রতি ১জন কৃষককে ২ কেজি বীজ দেয়া হয়েছে। বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় অবস্থানগত কারণে বোরো প্রধান এলাকা হিসেবে সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলায় প্রণোদনার সহায়তা বেশি দেয়া হয়েছে।