আদালতে দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া রাজধানীর পৃথক তিন থানায় করা মামলায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পৃথক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। সালাউদ্দিন টুকুর আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর ও তোফাজ্জল হোসেনের আদালত রাজধানীর শাহবাগ, রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) আমরা এই তিন মামলায় তার জামিনের আবেদন করবো।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। শুনানিকালে রিজভী ও টুকুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রিজভী-শিমুলসহ বিএনপির ১৬১ জন নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর: পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উস্কানি দেয়ার অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ দলের ১৬১ জন নেতাকর্মীর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
গতকাল রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ শুনানি শেষে এই জামিন নামঞ্জুর করেন।
বিএনপির ১৬১ নেতাকর্মীর জামিন চেয়ে তাদের আইনজীবীরা শুনানি করে। এবং রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ১৬১ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে। গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে একজন নিহত হয়। আহত হয় অনেকে। এ সময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আরো দেড় থেকে দু’হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। পুলিশ বাদি হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করে।