উন্নয়ন সংঘের সিডস কর্মসূচির সহায়তায় গঠিত আত্মনির্ভরশীল দল (এসআরজি) গুলোকে স্থায়িত্বশীল উন্নয়নের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী সুশীলসমাজ গড়ে তোলার লক্ষে এবং সিডস কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উদ্দেশ্যে দেওয়ানগঞ্জে দিনব্যপী সমবায় পদ্ধতি ও নিবন্ধিত দলগুলোর অর্থ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম। উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আলোচনায় অংশ নেন বকশিগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল, ইসলামপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মিলন কান্তি সাহা, স্ট্রমী ফাউন্ডেশনে জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী (ইকোনমিক ইনক্লুশন) চন্দন কুমার সরকার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। প্রশিক্ষণে সিডস কর্মসূচির সকল পর্যায়ের ২০জন কর্মী অংশ নেন। নিবিড় এবং সমবায় সমিতি পরিচালনার জন্য কৌশল, পদ্ধতি, অর্থব্যবস্থাপনা, নির্বাচন পদ্ধতি, কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক তথ্য উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্লেষণমূখী আলোচনা করেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম। তিনি সমবায়ের মাধ্যমে ঈর্ষণীয় উন্নয়নের বেশকিছু জীবন্ত উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি দৃষ্টান্তস্থাপনকারী দেশের বেশকিছু সমবায় সমিতি লিঃ এর উন্নয়ন ও অগ্রগতি কৌশল তুলে ধরে বলেন উন্নয়নের সংঘের সহায়তা অব্যাহত থাকলে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর ও বকশিগঞ্জে ৮টি নিবন্ধিত সমিতিও উজ্জল ভূমিকা তৈরি করতে পারবে। মাঠ পর্যায়ে সমবায় কর্মকর্তা ও পরিদর্শকরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন। নরওয়েভিত্তিক দাতা সংস্থা স্ট্রমী ফাউন্ডেশনের সহায়তায় উন্নয়ন সংঘের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন মর্যাদা ও স্থায়িত্বশীলতার সাথে আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়তন (সিডস)’ কর্মসূচির সহায়তায় গঠিত প্রতিটি দলকে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে বলে প্রশিক্ষণ সূত্রে জানা যায়। উল্লেখ সিডস কর্মসূচির আওতায় তিন উপজেলায় ৪২টি ওয়ার্ড কমিটিকেই পর্যায়ক্রমে নিবন্ধণ করে এবং দলগুলোকে সমবায়ের আদর্শে উজ্জীবিত রাখতে প্রশিক্ষণে সকল কর্মীরা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ এ আদর্শ সামনে রেখে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ হিসেবে সমবায় অধিদপ্তর দেশের অন্যান্য জেলার মতো জামালপুরের উন্নয়নে বহুমাত্রিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে। জামালপুরে ১ হাজার ৩৩৯টি সমবায় সমিতির মাধ্যমে ৯২ হাজার ৫২৯ জন নারী ও পুরুষ সদস্য আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করছেন।