প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বা বৈদেশিক কোনও চাপ নেই। বৈদেশিক রাষ্ট্রদূতরা যেসব মন্তব্য করছেন তা সরকার বুঝবে। এটি তাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়, এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার কোনও মন্তব্য নেই।’ গতকাল বুধবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন করবো। কোনও দলের প্রতি চাপ নেই, তবে সব দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ দল। তারা এলে নির্বাচনটি আরও অধিক মাত্রায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক হবে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হবো যদি সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সব দল অংশ নিলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের যে দাবি সেটি অধিক বাস্তবায়ন হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে সবসময় আমাদের রাজনৈতিক পরিম-ল একটু উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন আসতে আসতে রাজনৈতিক দূরত্ব কমে আসবে এবং নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ গড়ে উঠবে। আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাই, যে করেই হোক আপনারা নির্বাচনে আসেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমাদের যে সক্ষমতা আছে তাতে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ সম্ভব। এর পরিধি বাড়াতে ইতোমধ্যে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটির অনুমোদন হলে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হবে। কোনও কারণে ইভিএম দিয়ে প্রস্তুতি না নেওয়া গেলে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আর এই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’ নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবির, আইডিইএ (প্রকল্প-২) প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মাদ সায়েম, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিনুল আহসান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাইদুল ইসলাম, মির্জাগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মো. আবুবকর সিদ্দিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সংবাদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।