হিমালয় কাছে হওয়ায় উত্তরের সীমান্ত জেলা নীলফামারী জলঢাকায় এবার জেঁকে বসেছে শীত। সেই হাড় কাপানো কনকনে শীতের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। শীতের সাথে কুয়াশার দাপটও বেশ বেশি।সূর্যের দেখা মিললে রেশ নেই তাপে। শনিবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে পুরো উপজেলার সর্বত্র। উপজেলায় এতোদিন শীত অনুভূত হলেও কুয়াশার দেখা মিলেনি এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে কুয়াশার দেখা মিললে ও রাত থেকে তীব্র কুয়াশা পড়তে দেখা যায়। সাথে শীতের তীব্রতাও বেড়েছে আগের থেকে অনেক বেশি। ফলে উপজেলার সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন স্থানে কাঠ-খড়ি কিংবা প্লাস্টিক পুড়িয়ে আগুনের উঞ্চ তাপ নিতেও দেখা গেছে।সকালে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার বঙ্গবন্ধু চত্বর,জিরো পয়েন্ট মোর,বাসস্ট্যান্ড সহ সমগ্র রাস্তা ঘাট তীব্র কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরেছে।কুয়াশার সঙ্গে ভারী শীত নামায় সড়ক ও-মহাসড়কে অনেক চালককে লাইট দিয়ে গারী চালাতে দেখা গেছে।এছাড়া ঘন কুয়াশার কারণে কিছু দুর গেলেই কোনো মানুষকে দেখা যাচ্ছে না।গাছের পাতায় ও ঘাসের ডগায় ডগায় জমেছে শিশির বিন্দু। আর এই তীব্র হার কাপনো শীত শুরু হতে না হতেই কদর বেড়েছে গরম কাপড়ের।উপজেলার প্রতিটি কাপুরের দোকান ও ফুটপাতে এখন শীতের গরম কাপড়ের রমরমা ব্যবসা চলছে।দেখেশুনে ক্রেতারা ও কিনছেন গরম কাপড় নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য।এছাড়া ও শুরু হয়েছে স্থানীয় লেপ-তোশকের দোকানে কারিগরদের ব্যস্ততা। স্থানীয় বাজারে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা মজুদ করছেন শীতের পোশাক।এদিকে দিনের বেলায় উপজেলার বাজার গুলোতে লোকজনের দেখা মিললে ও সন্ধ্যার পর ঠান্ডার কারনে হাট বাজার গুলো ফাকা হতে শুরু করে।