গ্রামগঞ্জের আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে চলা ঘোড়ার গাড়ি এখন আর চোখে পড়ে না।যা একসময় গুরুত্বপূর্ণ বাহন হিসেবে প্রচলিত ছিল।একসময়ে চরাঞ্চলের গ্রামগুলোর মানুষের যাতায়াত ও কৃষি পণ্যসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো ঘোড়ার গাড়ি।গাড়িয়ালরা গাড়ি চালানোর সময় আনন্দে গান গাইতো ‘’ও কি গাড়িয়াল ভাই কত রব আমি পন্থের দিকে চাইয়া রে’’এখন আর ‘চাইয়া থাকলেও ঘোড়ার একটি গাড়িও আর চোখে পড়ে না। এরকমই একটি পণ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি চোখে পরল নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায়। জানা যায় উপজেলার উত্তর দেশিবাই ফয়জুল উলুুম দাখিল মাদ্রাসার ৩য় ও নবম শ্রেণির বই নিতে আসা ঘোরার মালিক শেরাজুল ইসলামের(৬০) সাথে।তিনি উপজেলার কাঁঠালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড-এর স্থানীয় বাসিন্দা।পূর্বে বাপ-দাদার ঘোড়া এবং গরুর ব্যবসা ছিল। বর্তমানে তিনি নিজেও এ ব্যাবসার সাথে জড়িত। বৈবাহিক সূত্রে তাঁর চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। শখ বসত আমি নিজেই ঘোড়ার গারিটি সাজিয়েছি।যদি কখনো ভাড়া পাই তাহলে ভড়ার কাজে ব্যবহার করি।এছাড়া মুলত আমার নাতি নাতনিদের আনন্দ ও ঘোরার গাড়িতে চরানোর জন্য আসলে এ ঘোড়ার গাড়িটি সাজিয়েছি।বর্তমানে আধুনিক এই যুগে হারিয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত ঘোড়ার গাড়ি। হাতে গোনা দু-একটা গ্রামে গাড়ি দেখা গেলেও তা আজ জরাজীর্ণ।আজ শহরের ছেলে-মেয়েরা তো দূরের কথা গ্রামের ছেলে-মেয়েরাও ঘোড়া গাড়ির সঙ্গে খুব একটা পরিচিত নয়। আগে অনেকেরই এ গাড়ি ছিল উপার্জনের একমাত্র উৎস।বর্তমানে আমার বাড়িতে এক জোড়া ঘোড়া রয়েছে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।