সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

কুমিল্লায় কৃষি ও শিল্প সেক্টরে বহুমুখী কাজ

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

জেলার অর্থনীতিকে সচল রেখেছে কৃষি অর্থনীতি। জীবন বাজি রেখে কৃষক জমিতে আবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। লাভ লোকসান যাই হোক। কৃষিকাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা বেশ ভালো আছেন। কৃষকরা ধান আলুসহ শাকসবজি, ফলের আবাদ নিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে। প্রতিদিন কৃষি শ্রমিকদের মজুরি কমপক্ষে ৬শ’ টাকা। গায়ে গতরে খেটে দিন এনে দিন খাওয়া নির্মাণ শ্রমিক, অটো চালক, রিকশাচালক এসব শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ বেশ ভালো আছেন। নব উদ্যোমে কুমিল্লার শ্রমজীবীরা মাঠে নেমেছেন।
কুমিল্লার কৃষি ও শিল্প সেক্টরে বহুমুখী কাজ এখন। দেবিদ্বারের মাল্টা বাগানের মালিক আমিনুর রশিদ বাসসকে বলেন, আমার বাগানে বেশ কিছু শ্রমিক কাজ করছে। এতে তাদের স্বচ্ছলতা আসছে। এলাকায় দেখাদেখি অনেকেই নতুন নতুন বাগান গড়ে তুলছে। সেখানেও প্রচুর শ্রমিকের কাজ হচ্ছে। বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের কৃষি শ্রমিক তৌফিক ইলাহী বাসসকে বলেন, কৃষি শ্রমিকের কাজ করে অভাব মোচন হয়েছে। এ দুঃসময়ে ভালো আছি। চান্দিনার আনোয়ার হোসেন বলেন, করোনা মহামারী কলেও কৃষিকাজ মানুষকে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
কৃষক, মাছের খামারি, মুরগি ও ডিমের খামারিদের চেয়ে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা ভালো আছেন। সাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কুমিল্লার দাউদকান্দি মৎস্য ক্ষেত্রে বেশ এগিয়েছে। মৎস্য চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কুমিল্লা জেলায় বছরে মাছের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৯৯ হাজার মেট্রিক টন। আর উৎপাদন হচ্ছে ২ লাখ ১০ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন মাছ। চাহিদার বিপরীতে অতিরিক্ত সোয়া লাখ মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদিত হয়ে এখানকার প্রায় ৬০ লাখ জনগোষ্ঠীর আমিষ পূরণ করে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থায় বাকি সিংহভাগ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
স্থানীয় মৎস্য চাষি আব্দুল আল মামুন বাসসকে বলেন, প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষের ফলে দাউদকান্দি ও আশপাশের জলা লের মানুষের অভাব ঘুচেছে। হাসি ফুটেছে তাদের মুখে, সুখ ফিরেছে সংসারে। তাঁর মতে, শিক্ষিত তরুণরাই এখন এ পেশায় বেশি ঝুঁকছে। ফলে কমেছে বেকারত্বও। তাদের দেখাদেখি আশপাশের এলাকার মানুষও এখন প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে বলে জানান মামুন।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন বাসসকে বলেন, শুধু কুমিল্লার দাউদকান্দিতে তিন হাজার হেক্টর প্লাবন ভূমিতে মাছ চাষ হয়। এ উপজেলার শিক্ষিত তরুণরা মাছ চাষে সম্পৃক্ত হওয়ায় বেকারত্ব দূর হয়েছে। সেই সঙ্গে মাছের উৎপাদনও বাড়ছে। তাছাড়া জেলায় মাছের চাষ ও রোগ প্রতিরোধে মৎস্য বিভাগ চাষিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নগরীর মেসে মেসে রান্নাবান্নার কাজ করা বুয়া আর ফুটফরমাস খাটা টোকাইরাও বেশ ভালো আছেন। নগরীর আনাচে কানাচে আর বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় আশেপাশে গড়ে ওঠা ছোট বড় ফাস্টফুডের দোকান বেশ জমজমাট। নদী তীরের ভ্রাম্যমাণ ফাস্টফুড, কালাই রুটি, ভাপাপিঠা, বারোভাজা, আমড়া, পেয়ারা বিক্রেতারাও শীত মৌসুমে ভালো ব্যবসা করছেন।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com