সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন

হবিগঞ্জে বিষমুক্ত সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২২

জেলার মাধবপুরের কৃষকরা এখন কীটনাশক ছাড়া নিরাপদ সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বাজারে কদর বেশী। আবার দামও ভাল। তাই এখন বেড়েছে কৃষকদের আগ্রহ বিষমুক্ত সবজি চাষ করায়।
মাধবপুর উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে ভাগ্য বদলাচ্ছে কয়েকশ কৃষকের। কীটনাশক ছাড়া নিরাপদ সবজি চাষ করতে শতভাগ জৈব পদ্ধতিতেই তারা ফসল ফলাচ্ছেন। ব্যবহার করা হচ্ছে না কোন ধরনের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। তাই এসব সবজির দামও যেমন বেশি পাচ্ছেন কৃষক বাজারও চাহিদা রয়েছে প্রচুর। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষি বিভাগের একটি প্রকল্পের ৫০০ চাষি। উপজেলার চৌমুহনী এলাকার নতুন পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের ব্যাপক আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আল মামুন হাসান জানান, পরিবেশ বান্ধক কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে চৌমুহনী ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্য হতে ২০টি গ্রুপে ৫০০ জন অগ্রগামী ও আগ্রহী কৃষক নির্বাচন করা হয়। প্রকল্প হতে সবজি বীজ, জৈব সার, ফেরোমন ফাঁদ, আঠালো ফাঁদ, জৈব বালাই নাশক মালচিং পেপারসহ বিভিন্ন উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার করায় এ সুফল পাচ্ছেন কৃষকরা। এখন নিরাপদ বিষ মুক্ত সবজি উৎপাদন করছে তারা। যা বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আইপিএম পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে পরিবেশের কোন বিরূপ প্রভাব পড়ছে না।
জাতীয় পদক প্রাপ্ত কৃষক বধু মিয়া জানান, রাসায়নিক কীটনাশক ছাড়া জৈব বালাই পদ্ধতিতে কৃষি বিভাগ থেকে ফসল উৎপাদন সম্পর্কে নতুন কিছু শিখতে পেরেছি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদিত সবজি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সবাই এই সবজির কথা জানতে পেরে এখন আমাদের কাছ থেকে আগাম টাকা দিয়ে সবজি কিনছেন পাইকাররা।
কৃষক সৈয়দ আলী জানান, আগে মনগড়া কীটনাশক ব্যবহার করতাম। এখন আর ব্যবহার করছি না। জৈব সার ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ও মালচিং পেপার সম্পর্কে জানতাম না। এখন প্রশিক্ষণ নিয়ে এর ব্যবহার জেনে অনেক উপকার হয়েছে। রাসায়নিক সার কিনতে হয় না, জৈব সার ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করা লাগে না। পোকা-মাকড় মারার জন্য ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ আঠালো ফাঁদ যে কারণে অনেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। ফসলের গুণগত মানও ভালো হয়। টমেটো, তরমুজ, ফুলকপি, বাধাকপি, শিম, লাউ, মিঠা কুমড়া, করলা, বেগুন, চিচিংগা, কোয়াস, সাম্মাম, চাষ করে আমরা লাভবান হচ্ছি।
নতুন পদ্ধতি চাষাবাদে এ অ লের কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। প্রকল্পভুক্ত চাষীদের পাশাপাশি উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার শতশত চাষিরা। এখানকার উৎপাদিত নিরাপদ সবজি বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে চলে যাচ্ছে। এতে করে অল্প দিনেই অনেক কৃষক বিষ মুক্ত বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করে লাখোপতি বনে যাচ্ছেন। উপজেলার কৃষি অফিস সূত্র জানায়, পূর্বের তুলনায় এখন ফসলও বৃদ্ধি পাচ্ছে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com