মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ৩৭টি কাপড়ের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের প্রায় দুই কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি দোকানে কম করে হলেও সাড়ে ৫ লাখ টাকার কাপড় ছিলো। এ দুর্ঘটনায় অনেকে কাপড় ব্যবসায়ী নিঃস্ব হয়ে গেছেন। গতকাল দিবাগত রাত চারটার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের পোস্ট অফিস সড়কে এই অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাশের পেট্রোল পাম্পে থাকা একটি নতুন মিনি ট্রাকও আগুনে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারের ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শনিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধক্ষ্য আলহাজ্ব ডক্টর মো. আব্দুস শহীদ এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসিন মিয়া মধু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী মোঃ লিটন মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত। ভোরররাতে আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. কামাল হোসেন এবং পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল জব্বার আজাদসহ সংবাদকর্মীরা। ব্যবসায়ী ও নৈশপ্রহরী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাত চারটার দিকে মার্কেটের পোস্ট অফিস রোডের অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পরে। আগুনের উত্তাপে আশেপাশের বহুতল ভবনের জানালার কাঁচ ভেঙে পড়ে। শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানেজার আবু তাহের জানান, ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছেন। ঘটনার বিষয়েশ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মো. মহসিন মিয়া মধু বলেন, ‘তিনি আশা করছেন আগুন লাগার প্রকৃত কারণ সংশ্লিষ্টরা খুঁজে বের করবেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পৌরসভার পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করা হবে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে সহায়তার আশ্বাস দেন।