বগুড়ার আদমদীঘিতে গত কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহের ফলে জনদুভোর্গ সৃষ্টি হয়েছে। সপ্তাহ জুড়ে ঠিকমত দেখা মেলেনি সুর্যের আলো। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ায় পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘিতে মানুষের রোগ বালাই যেমনটা বেড়েছে তেমনি,কুয়াশায় রবিশস্যের ক্ষেত ও বীজতলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আবহাওয়া এ অবস্থায় চলতে থাকলে ক্ষয়ক্ষতি বাড়তে পারে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের। বর্তমান আবহাওয়া ও শৈত প্রবাহের কারনে কৃষকরা বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে আদমদীঘি উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় ৪হাজার ২শ’হেক্টর জমিতে আলু চাষ এবং ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। এ বছর ১৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ধান কাটা মাড়াই শেষে ইরি-বোরো আবাদের ব্যাপক প্রস্ততি নিয়েছে কৃষকরা। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ইরি-বোরো বীজ বপন করা হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের প্রভাবে বীজতলা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে এলাকার কৃষকরা। এভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত চলতে থাকলে আলুর ক্ষেতে মড়ক ধরার সম্ভাবনা, শীতকালীন সবজি নষ্ট সহ বীজতলা ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। প্রচন্ড কুয়াশা আর শীতের কারনে কৃষকের সদ্য রোপনকৃত বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা সদরের কৃষক সাধন চন্দ্র সরকার, কেশরতা গ্রামের কৃষক হেদায়েতুল ইসলাম, নশরতপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলাম রব্বানী, চাঁপাপুর ইউনিয়নের বরিয়াবার্তা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, কয়েক দিনের ঘন কুয়াশার কারনে তাদের বীজতলা লালচে হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে তারা তাদের বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রেখেছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানায়, বর্তমান শৈত প্রবাহের কারনে বীজতলার তেমন কোন ক্ষতি হবে না। তার পরেও ঘন কুয়াশা কিংবা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে কৃষকদের বীজতলায় সাদাপলিথিন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।