ধূমপান ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, এ কথা কমবেশি সবারই জানা। তবে জানলে অবাক হবেন, সাধারণ সিগারেটের তুলনায় মেন্থল সিগারেট আরও বেশি ক্ষতি করে শরীরের। আমেরিকার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর এক গবেষণায় জানা গেছে, সাধারণ সিগারেটের তুলনায় মেন্থল সিগারেট আরও বেশি ক্ষতিকর। এ বিষয়ে গবেষকরা জানান, মেন্থলজাতীয় সিগারেটের ফিল্টারে এক ধরনের বিশেষ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। সেটি ধোঁয়ার মাধ্যমে মুখ থেকে গলায় এরপর ফুসফুসে গেলে ঠান্ডাভাব অনুভূত হয়। এটিই সমস্যার কারণ।
চায়ের সঙ্গে ধূমপান করে যে সর্বনাশ ডেকে আনছেন : সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এর গবেষণায় বলা হয়েছে, কমবয়সীদের মধ্যে মেন্থলজাতীয় সিগারেটে আগ্রহ বেশি। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৩০ বছরের কমবয়সী ধূমপায়ীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি (প্রায় ৫৪ শতাংশ) মেন্থল সিগারেটে অভ্যস্ত।
ধূমপান সম্পর্কিত যেসব ভুল ধারণায় বাড়ে আসক্তি: বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ছাড়তে না পারার কারণও মেন্থল ফ্লেভারের সিগারেট। এতে থাকা মেন্থলের প্রভাবে মুখ, গলা ও ফুসফুসে ঠান্ডা ভাব অনুভূত হয়। ফলে ধোঁয়া বেশিক্ষণ ভেতরে ধরে রাখার প্রবণতা বাড়ে।
ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে যা ঘটে: আর ধোঁয়া বেশিক্ষণ ধরে রাখলে শরীর বেশি মাত্রায় নিকোটিন গ্রহণ করে। ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি, হৃদরোগ ও রক্তচাপ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। যারা যত বেশি লম্বা টান দেন, তাদের সিগারেটে আসক্তি তত বাড়ে। পরে তা ছাড়া কঠিন হয়ে পড়ে। সূত্র: ওয়েব এমডি