আসরের প্রথম জয় পেল ফরচুন বরিশাল। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর রাইডার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে কীর্তনখোলা পাড়ের দলটি। প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে অধিনায়কত্ব তুলে দেয়া হয় সাকিব আল হাসানের কাঁধে এবং অনায়াসে জয় পায় তার দল। তবে এই ম্যাচ জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটে-বলে সমানতালে পারফর্ম করেছেন তিনি। বল হাতে ২ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতে মিরাজ করেছেন খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়া ৪৩ রান। নামের পাশের ২৯ বলে ৪৩ রান দেখে হয়তো খুব অসাধারণ কিছু মনে হবে না, তবে আজ এই আত্মবিশ্বাসী মিরাজকে যারা দেখেছেন, তারা বলতে বাধ্য হবেন ‘জীবন তোমাকে সুযোগ দিলে, তবে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়ে উঠো।’ মিরাজ যখন ব্যাটিংয়ে নামলেন ১৮ রানেই তখন ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বরিশাল। আর যখন আউট হলেন, তখন দলের রান ১২.৫ ওভারে ১০২। মাঝের পুরো সময়টা জুড়ে ইবরাহিম জাদরানকে সাথে নিয়ে ইনিংসটা নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছিলেন মিরাজ, দূর করে দিয়েছিলেন শুরুতেই উইকেট হারিয়ে ফেলার চাপ। মিরাজ ফিফটির দেখা না পেলেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন ইবরাহিম, আউট হবার আগে করেন ৪১ বলে ৫২ রান। জয়ের পথটা সহজ করে ইবরাহিম আউট হয়েছেন জয় থেকে ৩৫ রান দূরে থাকতে। তবে বাকি পথটা সামলে নিয়েছেন ইফতেখার আহমেদ ও করিম জানাত। ইফতেখার ১৮ বলে ২৫ ও করিম জানাত অপরাজিত ছিলেন ১৪ বলে ২১ রানে। রংপুরের হয়ে দু’টি উইকেট শিকার করেন সিকান্দার রাজা। এর আগে শোয়েব মালিকের বুড়ো হাড়ের ভেল্কিতে মান বাঁচায় রংপুর। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের ৩৬ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে ৮ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে রংপুর রাইডার্সের ইনিংস। ব্যাট হাতে এইদিন ব্যর্থ ছিলেন রংপুরের অধিকাংশ ব্যাটার। ১৫.৪ ওভারে ১১৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা, তবে ৮ম উইকেট জুটিতে শোয়েব মালিক ও রবিউল হক মিলে সংগ্রহ করেন ২৬ বলে ৪২ রান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাজঘরের পথ ধরেন নাইম শেখ। ইনিংসের প্রথম বলেই সাকিব আল হাসানের শিকার তিনি। একটা পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা ছিল শেখ মেহেদী ও রনি তালুকদারের দ্বিতীয় উইকেট জুটির, তবে ইবাদতের বলে শেখ মেহেদী বোল্ড হলে ২৩ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় রংপুর। মেহেদী করেন ৬ রান। বড় হয়নি তৃতীয় উইকেট জুটিও, ৭ বলে মাত্র ২ রান করে ফিরেন সিকান্দার রাজা। তবে শোয়েব মালিককে সাথে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়ে তুলেন রনি তালুকদার। তবে তার বিদায়েই ভাঙে এই জুটি, আউট হবার আগে রনি করেন ২৮ বলে ৪০ রান। পরের গল্পটা শোয়েব মালিকের একার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে ব্যর্থ অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, বেনি হাওয়েল কিংবা আজমতুল্লাহ ওমরজাই। সোহান ১২, হাওয়েল ৫ ও ওমরজাই করেন ১ রান। শেষ উইকেট জুটিতে ৪২ রান যোগ হলে ১৫৮ রান করে রংপুর। শোয়েব মালিক ৫৪ ও রবিউল হক অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে। দুটো করে উইকেট নিয়েছেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও মেহেদী মিরাজ। সাকিব শিকার করেন ১টি উইকেট।