৬১০ পর্যটক নিয়ে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে পর্যটকবাহী দুইটি জাহাজ। শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে এম ভি পারিজাত ও এম ভি রাজহংস পর্যটক নিয়ে যাত্রা করেন। বেলা ১২ টার দিকে জাহাজগুলো দ্বীপে পৌঁছবে। এর আগে নাফ নদীর বিভিন্ন জায়গায় বালুচর জেগে ওঠাসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের কারণে পর্যটক মৌসুমেও টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। সরেজিমনে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ দমদমিয়াস্থলে এম ভি পারিজাত ও এম ভি রাজহংস পর্যটকবাহী জাহাজ জেটি ঘাটে টিকেটের জন্য ভিড় করেন ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।
দমদমিয়া জেটিঘাট পরিদর্শনকালে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জানান, ‘শুক্রবার সকালে ওই দুটি পর্যটকবাহী জাহাজে করে ৬’শ এর বেশি ভ্রমণকারী সেন্টমার্টিন দ্বীপে রওনা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে এ জাহাজগুলো চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকদের যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এ রুটে আরও পর্যটকবাহী জাহাজ শনিবার থেকে চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে। বিশেষ করে দ্বীপে যেনো পরিবেশ সুরক্ষা থাকে সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি জাহাজগুলো যেনো ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত তদারকি করছে।’
এসময় জাহাজে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিন্নাত খানম জানান, ‘প্রথম বারের মতো প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে এসেছি, খুব আনন্দ লাগছে। আমাদের দলে ১’শ জন সদস্য রয়েছে। তবে আসার পথে টেকনাফের রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল।’ টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সভাপতি তোফায়েল আহমদ বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র নিয়ে প্রথমদিনে দুইটি জাহাজে ৬১০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে রওনা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কক্সবাজার অ লের সহকারী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান জানান, ‘কোন জাহাজ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য আমরা তদারকি করছি।’ সর্বশেষ গত বছরের মার্চের মাঝামাঝি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করেছিল।