সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩২ অপরাহ্ন

রৌমারীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৩

রৌমারীতে বিপদগামী কয়েকটি সিন্ডিকেট অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনে রাঘববোয়ালদের দাপটে মানুষ অতিষ্ট। বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ দিয়েও নেই প্রশাসনের পদক্ষেপ। সরকারের নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে নদী ও নদীর উপকূলে জেগে উঠা ভূমি থেকে ড্রেজার ও বেকু দিয়ে রাতদিন বালু উত্তোলন করে চলছে দাপটে রাঘববোয়ালরা। এতে বাস্তভিটা বাড়িঘর, গাছপালা ও জমি-জিরাত হারিয়ে পথের ভিখারী হওয়া মানুষ গুলো সিন্ডিকেটের শক্তির কাছে অসহায় হয়ে আল্লাহকে জানিয়ে নিরব দৃষ্টিতে চেয়ে দেখছে। জেলা থেকে ১৫টি নদ-নদী দ্বাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রৌমারী উপজেলা। সৃষ্ঠিরলগ্ন থেকে জিনজিরাম, সোনাভরি, কালাপানি, ধর্ণী, হলহলিয়া ও ব্রম্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাসে রৌমারী উপজেলাটি মানচিত্র থেকে প্রায় নদী গর্ভে বিলীনের পথে। প্রতিবছর ভাঙ্গনের তান্ডবে নদী কূলীয় মানুষ গুলো ভিটে-মাটি ও ফসলী জমি হারিয়ে কেহ সরকারি রাস্তার পাশ্বে, কেহ অন্যের বাড়িতে, কেহ শহরের কোন অলি-গলিতে ঝুপড়ি বেঁেধ মানবতর জীবন যাপন করছে। সরকার চেষ্টা করছে নদের তীর সংরক্ষণ করে ভাঙ্গন রোধ করবে। বিধিবাম, চরের বুকে বেকু দিয়ে ও নদীর মাঝে ড্রেজার বসিয়ে দিধারছে বালু উত্তোলন করে ট্রাক্টর বা কাকড়া গাড়ি দিয়ে মাটি বিক্রির উৎসবে মেতে উঠেছে। এসব বালু খেকো সিন্ডিকেটের কারণে চরের স্থায়িত্ব তীর সংরক্ষণ বাঁধ ও মাটি জমাট বাধতে পারছেনা। এতে সরকারের উন্নয়নকে বাঁধা দিচ্ছে তারা। কে শোনে ভূমিহীন গৃহ হারা মানুষের আহাজারি। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কারী চরবাঘমারা এলাকায় সিরাজুল ইসলাম, অবসর আর্মি রফিকুল ইসলাম, নুর আলম, আব্দুস সালাম, কবির হোসেন, আমির খাঁন, জিয়ারুল ইসলাম, যাদুরচর ধনারচর চরের গ্রাম ফরমান, সাখাওয়াত, জহির উদ্দিন, রফিকুল, আফজাল, নজরুল, আমিনুল, আলিম, আফছার, আজিবর, শাহজাহান আলীসহ শতশত অবৈধ ড্রেজার ও ট্রাক্টর দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ ও প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলেও তাযেন রহস্যজনক কারণে নীরবতার সামিল। সিন্ডিকেটটি কয়েকটি চক্রে বিভক্ত হয়ে উপজেলার জিনজিরাম, সোনাভরি, কালাপানি, ধর্ণী, হলহলিয়া ও ব্রম্মপুত্র নদের উপ কূলীয় নতুন পলিপরা চরাঞ্চলে চলছে বালু খেকোদের তান্ডব। এযেন কোন ভাবেই থামছেনা। তবে বালু খেকোদের ভয়াল থাবায় অসহায় নদী ভাঙ্গা ভূমিহীন বাস্তহারা মানুষ গুলোর মধ্যে শমেস আলী, আব্দুস সবুর, তারিকুল, রমজান, জলিল, ময়নাল,কাসেম অভিযোগ করে বলেন, ড্রেজার ও বেকু দিয়ে যে ভাবে নদী ও নদী কূলীয় চর থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে , তাতে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে অতি সহজে বানের পানি প্রবেশ করে নতুন ক্যানেল তৈয়ারী করবে ও সহজে গ্রাম গঞ্জে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করবে। এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) এবিএম সরোয়ার রাব্বি বলেন, অবৈধ ড্রেজার ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের লিখিত অভিযোগ ও সংবাদপত্রে, সংবাদ প্রকাশের খবরটি পেয়েছি। ড্রেজার ও বেকুদিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে পুলিশ নিয়ে ভ্রাম্যমান দিতে যাবো। তবে সময় করে উঠতে পারছি না। যে কোন সময় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকার মানুষের প্রাণের দাবী তড়িৎগতিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাদ্রমে অবৈধ ড্রেজারে মাটি উত্তোলন বন্ধ করা হউক।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com