সরকার করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দিয়েছে, এখন বিএনপি নেতাদের জন্য এক্সট্রা ডোজ রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বিএনপি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে দাবি করে তার বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি কাগজে দেখলাম মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস সাহেব হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আমি তাদের রোগমুক্তি কামনা করি। রোগমুক্তি লাভ করে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখুক সেটাই চাই। আমাদের সরকার করোনাভাইরাসের তিনটা টিকা দিয়েছে। প্রথম ডোজ, দ্বিতীয় ডোজ এবং বুস্টার ডোজ, এখন এক্সট্রা ডোজও একটা দিচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গয়েশ্বর বাবু, মির্জা আব্বাসসহ ওদের নেতাদের জন্য আমরা এক্সট্রা ডোজও রেখেছি, আপনারা এক্সট্রা ডোজ নেন। আপনারা সুস্থ থাকুন, সরকারের সমালোচনা করুন। কিন্তু দেশে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। তাহলে দেশের মানুষ প্রতিহত করবে।’
জেল থেকে বের হওয়ার পরে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের ‘সুর পাল্টেছে’ বলে দাবি করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘তারা বলছেন, তারা সরকারকে ধাক্কা দিতে চান না। ধাক্কা দিতে গিয়ে তারা (বিএনপি) নিজেরাই পড়ে গেছে। সেই জন্য এখন লাইনে এসেছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল, আমরা পদ্মা সেতু করতে পারবো না। এখন তারা গোপনে পদ্মা সেতুর ওপাড়ে যায়। ওপাড়ে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা করে। করোনা টিকার বিরুদ্ধেও অপবাদ দিয়ে গোপনে টিকা নিয়েছিলেন। মেট্রোরেলে সমগ্র বাংলাদেশ খুশি। কিন্তু পত্রপত্রিকায় দেখেছেন, বিএনপির এটা ভালো লাগে না। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি কখন আপনারা মেট্রোরেলে চড়বেন।‘
প্রসঙ্গত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো গতকাল সোমবার যুগপৎভাবে সারাদেশ বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। তাদের কর্মসূচি থেকে সহিংসতা হতে পারে দাবি করে রাজধানীতে অবস্থান ও সমাবেশ করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
একই দাবিতে বিকালে ভাটারা নতুনবাজারে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।