সিলেটে সুরমা ১৮ কিলোমিটার খননের উদ্যোগ ব্যয় ৫০ কোটি টাকা। সুরমা নদী খনন কাজের উদ্বোধন করেছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সিলেটের সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকায় এ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, ‘মানুষের দুর্গতি নিরসনে সুরমা নদী খনন শুরু হয়েছে। এই খনন কাজ ভবিষ্যতে বন্যা মোকাবেলা ও নদী ভাঙন রোধে সহায়ক হবে। মন্ত্রী জানান, সিলেট নগরবাসীকে বন্যামুক্ত করা ও সুরমা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে খনন কাজ। কারণ শীত মৌসুমে সুরমা নদী শুকিয়ে নালায় পরিণত হয়। বর্ষায় নদীর তীর উপচে পানি ঢুকে সিলেট নগরীতে। এতে পানিতে তলিয়ে যায় সিলেট নগরী। গত বছর দুই দফা বন্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সিলেট নগরবাসীকে। এর প্রেক্ষিতে নদী খননের উপর জোর দেয়া হয় এবং মৌসুমের আগেই গতকাল প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সুরমা নদীতে খনন কাজের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সিলেট নগরীর কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত প্রথম দফায় প্রায় ১৮ কিলোমিটার নদী খনন করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। নদী খনন করছে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পাউবো সিলেট অফিস সূত্র জানায়, গত বছর মে ও জুন মাসে নগরীতে ভয়াবহ বন্যা হয়। ওই সময় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সুরমা নদী খনন, শহররক্ষা বাঁধ এবং নদী ও ছড়া-খালের উৎসমুখে স্লুইস গেইট নির্মাণের দাবি উঠে। ওই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ নদী খননের উপর জোর দেন। এরই প্রেক্ষিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড সুরমা খননে প্রকল্প গ্রহণ করে। অবশেষে নগরবাসীর পরিত্রাণে জরুরী ভিত্তিতে সুরমা খননের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ জানান, প্রথম দফার খনন শেষ হলে কুশিঘাট থেকে লামাকাজি সেতু পর্যন্ত সুরমার নাব্যতা বাড়বে। একই সঙ্গে বাড়বে পানি প্রবাহ। এতে বর্ষায় সিলেট মহানগরে বন্যার আশঙ্কা কমবে। আগামী জুন মাসের মধ্যেই খনন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।