রাজধানীর ভাটারায় ভিক্টর ক্ল্যাসিকের বাসচাপায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নাদিয়া আক্তার নিহতের ঘটনায় চার দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১২টার দিকে উত্তরা দক্ষিণখান আশিয়ান সিটির নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কাওলা ফুট ওভার ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে— প্রথমত, আগামী ২৩ জানুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনের রোড পারমিট বাতিল করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ড্রাইভারকে ২৩ জানুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে আইনের আওতায় আনতে হবে। তৃতীয়ত, কালা বাস স্টপজের’ নাম হবে ‘নাদিয়া বাস স্ট্যান্ড’ এবং মহানগরীর প্রত্যেক বাসকে এখানে থাোতে হবে।
চতুর্থত, নিহত ছাত্রীর পরিবারকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিমানবন্দর ও কালা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুর একটার দিকে পুলিশ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে তারা কালার রেলগেট এলাকায় গিয়ে আন্দোলন চালান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়, যার ফলে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ পথচারীরা।
বিমানবন্দরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বাসচাপায় শিক্ষার্থী নাদিয়া নিহতের ঘটনায় চার দফা দাবি আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারপরও শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। পুলিশ বুঝিয়ে তাদেরকে সরিয়ে দিয়েছে। উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের টঙ্গী থেকে কাওলা পর্যন্ত এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী উড়াল সেতু থেকে কাওলা পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরে শিক্ষার্থীদের পুলিশ রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।