শেরপুর জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার প্রান্তিক দরিদ্র কৃষকেরা প্রণোদনা বীজ ও সার পাওয়ায় অধিক লাভবান হয়েছেন। তাই সরিষার বাম্পার ফলনে ১০২ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের থেকে এবছর শেরপুরের ৫ উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার আগাম চাষ হয়েছে। যা গত বছরের দিগুন এবং যার মোট উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার মেট্রিকটন। কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বৃদ্ধিতে জেলার ৫ উপজেলা ও ৪ পৌরসভার মোট ২৫ হাজার প্রান্তিক কৃষককে সরিষার বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বুরো আবাদ ঘরে তোলার পর ইরি আবাদের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা চাষ করা যায়। এছাড়াও সরিষা চাষে তেমন খরচ নেই। একর প্রতি জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় মাত্র ২ হাজার টাকা। পাশাপাশি মনপ্রতি সরিষা বিক্রি হয় ৩ হাজার টাকা। কৃষক আশরাফ জানান, ভোজ্যতেলের দাম বেশি হওয়ায় অনেকে সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। গতবার আমি ২ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছিলাম। দাম ভাল পাওয়ায় এবার ৫ একর জমিতে সরিষার চাষ করেছি। কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, সরিষা চাষে খরচ কম, ফলন বেশি। তাই শেরপুরে কৃষকদের মাঝে সরিষা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। জেলা কৃষি বিভাগ প্রান্তিক চাষিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা করায় এ বছর কৃষকদের তেমন খরচ হয়নি। প্রতি একরে সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ২০ মন। এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস বলেন, ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় ও ঘাটতি পূরণে জেলায় তেল ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও জেলায় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রান্তিক চাষিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ব্যবস্থা করা হয়েছে।