চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের (আপেল প্রতীক) ১১টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে পোস্টার ব্যানার। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ- রোববার রাত সাড়ে ৯টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। প্রথম শহরের উদয় সংঘ মোড়ের অফিস ভাংচুর করে, পরে মিস্ত্রীপাড়া, বাতেন খাঁর মোড়ের প্রধান নির্বাচনী অফিস, ফুড অফিস মোড়, উদয়ন মোড়, রেলগেট, বিদিরপুরসহ পৌর এলাকার ১১টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে রাতেই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা খান বাতেন খাঁর মোড়ের ভাঙচুর করা নির্বাচনী অফিস পরিদর্শন করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে ২০ থেকে ২২ জন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এসে অতর্কিতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা কার্যালয়ের চেয়ার, টেবিলসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম ভাঙচুর করে দ্রুত পালিয়ে যায়।
সামিউল হক লিটন অভিযোগ করে বলেন, রোববার রাত ৯টার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত আমার ১১টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করেছে। নির্বাচনকে প্রভাব বিস্তার করতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন এটা করেছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে প্রত্যক্ষদর্শীরা ভাঙচুরকারী যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাদের নাম বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.আবুল কালাম সাহিদ বলেন, দুর্বৃত্তরা দ্রুত এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। যার কারণে ধরা সম্ভব হয়নি। পুলিশের টহল টিম মাঠে কাজ করছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খাঁন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছে। তারা মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনে এরকম বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে থাকে। আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে বদ্ধপরিকর।