পরপর দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৫ বারের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। ২০০৮ সালে সবাইকে অবাক করে নৌকার টিকিট নিয়ে শরীয়তপুর-১ (পালং-জাজিরা) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। টানা ১০ বছর এমপি পদে ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে এ আসনে তাকে হটিয়ে নৌকার মনোনয়ন পান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইবাল হোসেন অপু। ইকবাল হোসেন অপু মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকেই এলাকা থেকে আবার লাপাত্তা হন বিএম মোজাম্মেল হক। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে হঠাৎ করে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকা জাজিরায় আসেন তিনি। বিএম মোজাম্মেল হকের আগমনে তার অনুসারীদের মধ্যে আনন্দ উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। প্রিয় নেতার আগমনের খবরে শত শত নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানাতে শোভাযাত্রা নিয়ে ছুটে যান পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে। বেলা ১২টায় বিএম মোজাম্মেল হক পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে পৌছলে শত শত নেতাকর্মী তাকে ফুলেল শুভেচছা জানান। পথে পথে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে করতে বেলা ৪টায় জাজিরার নিজ বাড়িতে পৌছান। বাড়িতে পৌঁছেই তিনি তার মায়ের কবর জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের জানালেন, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী তার বাবা মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে তার গ্রামের বাড়ি আসা। এ বিষয়ে বিএম মোজাম্মেল হক বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের দলীয় পদের দায়িত্ব পালনের কারণে দেশে আসতে পারিনি। আমি দলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে নিষ্ঠার সাথে আমি আমার দলীয় দায়িত্ব পালন করেছি। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় আসতে পারিনি। তাছাড়া আমি আমার নির্বাচনি এলাকায় না এসে বর্তমান এমপিকে বিগ্নতা ছারা কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছি। শুধু কি বাবা-মায়ের কুলখানি অনুষ্ঠান নাকি আগামী নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি রাজনীতি করি। আমার প্রতিটি কাজের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো। এসয়ময়ে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান পাহাড়, জাজিরার সাবেক পৌর মেয়র আবুল খায়ের ফকির, জেলা পরিষদের সদস্য নেছার উদ্দিন মাদবর সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।