নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়নের মতৈন গ্রামে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের অবরুদ্ধ চলাচলের পথ খুলে দিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) এসিল্যান্ড তাজমিন আলম তুলি। স্বরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ডমুরুয়া ইউনিয়নের মতৈন গ্রামের কানকিরহাট নামার বাজারস্থ বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের চলাচলের পথের মুখে লোকমান হোসেন নাকে এক প্রবাসী জায়গা খরিদ করে দোকান ঘর তুললে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের বাড়ির চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। পরে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা এসিল্যান্ড তাজমিন আলম তুলির কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এসিল্যান্ড ঘটনাস্থল স্বরেজমিন তদন্ত করেন। রোববার সকালে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা দলবদ্ধ হয়ে মানববন্ধন কর্মসুচীর প্রস্তুতি গ্রহণ করে এসিল্যান্ড তাজমিন আলম তুলির সাথে সরাসরি স্বাক্ষাৎ করে এর প্রতিকার চান। এসিল্যান্ড তাদের চলাচলের পথ খুলে দিবেন বলে তাদেরকে আশস্ত করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে দুপুর ১টায় এসিল্যান্ড তাজমিন আলম তুলি থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকান ঘরটি উচ্ছেদ করে অবরুদ্ধ চলাচলের পথ খুলে দেন। এ ব্যাপারে জায়গার মালিক লোকমান হোসেন জানান-তিনি গত কিছুদিন পুর্বে জায়গাটি খরিদ করেছেন ,তিনি বলেন বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সাথে আমার কোন শত্রুতা নেই, আমি সম্পূর্ন কাগজপত্র দেখে শুনে জায়গাটি খরিদ করেছি, এ জায়গার নকশা ও খতিয়ানে কোথাও চলাচলের পথ উল্লেখ নেই, জায়গাটি অনেকদিন খালি ছিলো বিধায় এই বাড়ির লোকজন চলাচল করেছে, এখন আমি আমার জায়গায় ঘর তুলছি এখন তারা আমার বিরুদ্ধে এসিল্যান্ড অফিসে নালিশ করেছে। এ বিষয়ে এসিল্যান্ড তাজমিন আলম তুলি জানান-এটা বৌদ্ধদের বাড়িতে প্রবেশের একমাত্র চলাচলের পথ, কোন অবস্থায় কেউ কারো চলাচলের পথ বন্ধ করতে পারে না। এরপরেও যদি জায়গার মালিকের কোন অভিযোগ থাকালে অফিসে এসে যোগাযোগ করলে বিষয়টি উভয় পক্ষকে নিয়ে মিমাংশা করা হবে।