বাগেরহাটের চিতলমারীতে বাবার প্রথম পক্ষের ছেলেরা দখল করে নিয়েছে দ্বিতিয় পক্ষের ছেলে-মেয়েদের বসত-বাড়ি, ঘর। প্রতিবাদ করায় হামলা-মামলা ও জীবন নাশের হুমকির মুখে পরিবারটির বর্তমান পরের বাড়িতে মানবেতর জীবন কাটছে। বিচার চেয়ে বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন সুফল পায়নি তারা। উপজেলার বড়বাড়িয়া নতুন পাড়া গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটেছে। সরে জমিনে ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসি জানায়, বড়বাড়িয়া নতুন পাড়া গ্রামের মৃত: আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে মৃত: মো: শাহাজান শেখ জীবিত থাকাকালিন দুটি বিবাহ করেন। প্রথম পক্ষের তিন ছেলে এবং তিন মেয়ে। দ্বিতিয় পক্ষের তিন ছেলে সাত মেয়ে রেখে জান। মৃত্যুর পুর্বে শাহাজান প্রথম পক্ষের স্ত্রী-সন্তানদের প্রাপ্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দিয়ে জান। এবং দ্বিতিয় স্ত্রী নাসিমা বেগমকে বসবাসরত বাড়ী সহ ২৯ শতক জমি চিতলমারী এসআর অফিস থেকে দলিল করে দিয়ে যান। দলিল নং-১২৯১, তারিখ ১৮/০৭/২০১৮। স্বামী সাহাজান জীবিত থাকা-কালিন স্ত্রী নাসিমা বেগম সন্তানদের নিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করে আস ছিলেন। এ অবস্থায় শাহাজান শেখ বিগত ৮ আগষ্ঠ ২০২০তারিখ মৃত্যুর বরন করেন। মৃত্যুর পর সেখানে দ্বিতিয় স্ত্রী নাসিমা বেগম ও তার ছেলে মেয়েরা শান্তিপুর্ণ ভাবে বসবাস করেন। এ অবস্থায় বিগত ২৪/১২/২০২২ তারিখ নাসিমা বেগম ও তার মাদ্রাসা পড়–য়া দুই মেয়ে বাড়িতে না থাকায় মৃত্যু শাহাজানের প্রথম পক্ষের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবীর, রুহুল আমীন ও তাদের চাচাতো ভাই লাবলু শেখ ওই বাড়ি ও ঘর দখলে নেয়। ঘরের ভিতরে আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল এবং পুকুরের অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মাছ ধরে নেয় বলে অভিযোগ তাদের। বিকেলে নাসিমা বেগমও তার দুই মেয়ে তাবাচ্ছুম ও জান্নাতি বাড়ীতে এসে দেখতে পান তাদের ঘর-বাড়ী, দখল হয়ে গেছে। ঘরে প্রবেশ করতে গেলে প্রতিপক্ষরা মার পিট সহ ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় নাসিমা বেগম ও তার মেঝো ছেলে মোঃ আঃ আজিজ শেখ বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও কোনরুপ ন্যায় বিচার পাননি তারা। উল্টো মাদ্রাসা পড়–য়া বোন-মা,ও তাকে খেতে হয়েছে ১৪৪ ধারায় মামলা। এব্যপারে প্রতিবেশী অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল আলী শেখ জানান দলিলের সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদের ঘটনাটি একেবারেই ন্যাক্কারজনক। পরিবারটি কোন বিচার পাচ্ছেনা। স্থানীয় সেরাজুল ইসলাম জানান, ওরা বাবার আমল থেকে এই বাড়ী বসবাস করে। ছোট স্ত্রীর নামে বাড়ির দলিল আছে কিন্তু গায়ের জোরে তাদের বেদখল করা হয়েছে। অনুরুপ প্রতিক্রিয়া জানান, নিলুফা বেগম, শিরিনা বেগম, টুকু ফকির সহ অনেকে। আপর দিকে প্রতিপক্ষ রুহুল আমীন শেখের বড় ভাই হুমায়ুন কবীর জানান, তাদের পিতার দুই পক্ষের ১৬ জন সন্তান তারমধ্যে বাবার ঘরে বড় ভাই হুমায়ুন কবীর উঠছে। এবং ছোট মার ২৯ শতকের জমি নিয়ে কোর্টে মামলা আছে। মামলায় যে রায় হয় মেনে নেব।