শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম ::
শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক পর্ষদের ৩৮৭তম সভা অনুষ্ঠিত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে দ্রুত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে -আমান শ্রীমঙ্গলে নারী চা শ্রমিক-কর্মজীবী নারীর প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্য নিয়ে সংলাপ কালীগঞ্জে সরকারি মাহতাব উদ্দিন কলেজে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম : আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বগুড়ার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত-নিহতদের স্মরণসভা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে-রেজাউল করিম বাদশা দুর্গাপুরে আইনজীবীদের মানববন্ধন কয়রায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ সভা ও সাংস্কৃতিক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মুন্সীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে জলঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ দুর্গাপুরে শেষ হলো দুইদিন ব্যাপি কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ

মিরসরাইয়ে একেরপর সেচ প্রকল্প বন্ধ,শঙ্কায় কৃষক

কামরুল ইসলাম (মিরসরাই) চট্টগ্রাম :
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

মিরসরাইয়ে একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চাষের অন্যতম অনুষঙ্গ পানির স্কিম। গত ১২ বছরে ১৮টির মধ্যে ১৪টি পানির স্কিম বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ধান ছাড়াও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের। এ ছাড়া বাজারমূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষিকাজে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। চলতি বছর প্রায় আড়াইহাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বোরো আবাদ ছাড়াও কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন শীতকালীন সবজি চাষ হয়ে থাকে স্কিমের পানি দিয়ে। স্কিম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবাদ নিয়ে শঙ্কায় কৃষকরা। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশ (বিএডিসি) সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে ফসল উৎপাদন বাড়াতে ২০১২-১৩ সালে ও এর আগে মিরসরাইয়ের ১৬ ইউনিয়ন ও দুই পৌরসভায় মোট ১৯টি পানির সিম দিয়েছিল বিএডিসি। ১৯টির মধ্যে একটি স্কিম ফেরত আসে। বর্তমানে ১৮টি পানির স্কিমের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ১৪টি। চালু রয়েছে মাত্র চারটি। এগুলোর মধ্যে করেরহাট ইউনিয়নে দু’টি, জোরারগঞ্জ ইউনিয়নে একটি ও ধুম ইউনিয়নে একটি স্কিম চালু রয়েছে। অথচ হিঙ্গুলী ও করেরহাট ইউনিয়নে ১৩টি পানি স্কিম দিয়েছিল বিএডিসি। ধানের বাজার মূল্য থেকে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষকরা বোরো চাষ করছেন না। তাই গত কয়েক বছর ধরে স্কিম বন্ধ রেখেছে অনেকে। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারমূল্য কম ও পেশা বদল করায় কৃষিকাজে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। হিঙ্গুলী ইউনিয়নের পূর্ব হিঙ্গুলী গ্রামের এক স্কিম পরিচালক জানান, চার বছর আগে তিনি এক একর (১২০ শতক) জমি চাষে পানি বাবদ ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা নিতেন। এক শতক জমিতে বোরো চাষে খরচ হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। কিন্তু এক শতকে ধান চাষ হয় মাত্র ১২ থেকে ১৫ কেজি, যার বাজারমূল্য মাত্র ১৮০-২০০ টাকা। কৃষক নাজমুল হুদা বলেন, স্কিম গত চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। আমরা এখন পানির অভাবে মৌসুমে চাষাবাদ করতে পারি না। বন্ধ থাক স্কিম চালু হলে আমাদের অনেক উপকার হতো। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন মিরসরাইয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ- সহকারী প্রকৌশলি জাহেদ হাসান বলেন, কিছু পাম্প নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু চালু করছেন পরিচালকরা। এ ছাড়া সড়কের কাজ করতে গিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য নির্মিত ড্রেন ভেঙে ফেলেছে এলজিইডি। শীঘ্রই চালু করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন জানান, বন্ধ স্কিমগুলো চালুর বিষয়ে কৃষি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসিকে নিয়ে যৌথসভা করা হয়েছে। শীঘ্রই স্কিম গুলো আবার সচল করা হবে।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com