কালীগঞ্জ উপজেলাধীন গ্রামীণ সড়ক মেরামত ও সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় কালিগঞ্জ থেকে ভায়া নলডাঙ্গা হয়ে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামীণ সড়কের সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। শুরু থেকেই রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।এ রাস্তায় চূড়ান্ত কাজের পূর্বের ধাপগুলোতে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানায় এলাকাবাসী। সাড়ে ৩ কিলোমিটার এর পুরো রাস্তার ভাঙ্গা এবং নিচু স্থানে খুব নি¤œমানের ইট ও রাস্তার ভেঙে যাওয়া ইট, শুড়কি ব্যবহার করে রোলার করা হচ্ছে ।কিন্তু রাস্তা মেরামতের এস্টিমেট এ উল্লেখিত নির্মাণসামগ্রী ভেঙ্গে যাওয়া কিংবা নিচু স্থানে ব্যবহার করা হচ্ছে না। আবার রাস্তাটি ভেজাতে যে পরিমাণ পানি ব্যবহার করার কথা তাও করা হচ্ছে না। সরোজমিনে রাস্তারটিতে যেয়ে উপরোক্ত অনিয়মগুলো চোখে পড়ে। শুধু তাই নয়; শুকনো রাস্তায় কাটব্যাক এর কাজ করার নিয়ম থাকলেও তা না করে করা হচ্ছে ভেজা এবং কাদাযুক্ত রাস্তায়। কালীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিসের তদারকী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে রাস্তার কাজে অনিয়ম হলেও তাকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। ২০২১-২২ অর্থবছরে অনুমোদিত মেরামত ও সংরক্ষণ এর জন্য এই রাস্তাটির প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৮২ টাকা। ঝিনাইদহের কাঞ্চননগর এর ঠিকাদার নিশিত বসু রাস্তা মেরামত ও সংরক্ষণ এ কাজটি পেলেও কাজ করছেন রুনু মিয়া। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে রুনু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, রাস্তাটি মেরামতের শিডিউলে ভাঙ্গা কিম্বা নিচু অংশের জন্য বাজেট না থাকায় খরচ কমাতে এভাবেই করছি। উপজেলা এলজিইডি অফিসের তদারকি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের জানান, শিডিউল এ না থাকায় রাস্তাটির ভাঙ্গা কিংবা নিচু অংশের ব্যাপারে চাপ দিতে পারছি না। রাস্তা কাজে নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের কথা তিনি অস্বীকার করেন। ঝিনাইদহ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার উদ্দিন বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেয়। অভিযোগের ব্যাপারটি আমি খতিয়ে দেখব। গ্রামীণ গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির সংস্কার কাজে অনিয়ম মানতে নারাজ স্থানীয় এলাকাবাসী। নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার কাজটি ভালো ভাবে সম্পন্ন করবেন সংশ্লিষ্টরা এমনটাই প্রত্যাশা করেন তারা।