৫১ তম শীতকালীন জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বান্দরবানের লামা কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ সর্বোচ্চ পয়েন্ট পেয়ে ক্রীড়ানৈপুণ্যে দেশসেরা স্কুল হয়েছে। এবছর ১০ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি, প্রায় মাসব্যাপী শীতকালীন এই প্রতিযোগিতায় ৭টি ইভেন্টের মধ্যে ৩টি ইভেন্টে (ভলিবল, বাস্কেটবল ও টেবিল টেনিস) কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী আলাদা গ্রুপে অংশ নেয়। এর মধ্যে বাস্কেটবল ছাত্রদের দল উপঅঞ্চল পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন, আর বাকি প্রতিটি ইভেন্টে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের স্পোর্টস বিভাগের প্রধান শাহ আলম বলেন, ‘কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ২০১৭ থেকে টানা ৪ বার ক্রীড়ানৈপুণ্যে দেশসেরা হয়েছে। এবছরও একক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে ৫ম বারের মতো আন্তঃস্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করার মূলে রয়েছে আমদের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অনুশীলন।’
ভলিবল : এবছর ২ ফেব্রুয়ারি অঞ্চল ভিত্তিক প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কোয়ান্টাম কসমো স্কুল বকুল অঞ্চলের হয়ে খেলে। প্রতিপক্ষ দল চাঁপা অঞ্চলের সাথে ২টি সেটের প্রতিটিতে জয়লাভ করে। ৪ ফেব্রুয়ারি কোয়ান্টামের ছাত্রীরাও ২ সেট খেলায় প্রতিপক্ষ গোলাপ অঞ্চলের সাথে বিজয়ী হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররা গোলাপ অঞ্চলের সাথে প্রথম ২টি সেটেই বিজয়ী হয় এবং ছাত্রীরা চাঁপা অঞ্চলের বিপরীতে প্রথম ২টি সেটেই জয়লাভ করে বিপুল ব্যবধানে। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ ফেব্রুয়ারি যশোরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে খেলায় ভলিবলে ছাত্র ও ছাত্রী দুই দলই চ্যাম্পিয়ন হয়।
টেবিল টেনিস : ৩ ফেব্রুয়ারি টেবিল টেনিস দ্বৈত খেলায় কোয়ান্টাম ছাত্ররা প্রতিপক্ষ গোলাপ অঞ্চলের চেয়ে ১ পয়েন্টে এগিয়ে থাকে। আর ছাত্রীরা প্রতিপক্ষ গোলাপ অঞ্চলের সাথে ০-৩ ব্যবধানে জয়ী হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি টেবিল টেনিস ছাত্রী একক গোলাপ অঞ্চলের সাথে জয়ী হয়। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি ছাত্র ও ছাত্রী একক ও দ্বৈত ৪টি ম্যাচের প্রতিটিতেই জয়ী হয় কোয়ান্টাম। ৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনালে টেবিল টেনিস দ্বৈত খেলায় ছাত্র ও ছাত্রী এবং ছাত্রী একক খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় কোয়ান্টামের শিক্ষার্থীরা। আর টেবিল টেনিস ছাত্র এককে হয় রানারআপ।
বাস্কেট বল : ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিপক্ষ পদ্ম অঞ্চল ৪ পয়েন্ট এবং কোয়ান্টামের ছাত্রীরা ৫৯ পেয়ে ব্যাপক ব্যবধানে এগিয়ে যায়। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি তারা গোলাপ অঞ্চলের চেয়ে এগিয়ে থাকে ১৫ পয়েন্টে এবং ফাইনালে গিয়ে কোয়ান্টামের এই ছাত্রী দলটি চ্যাম্পিয়ন।