বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই। আমরা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করব। পার্লামেন্ট ইস্তফা দিবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে ‘ভোটার অধিকার ফিরে পেতে চাই’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি সব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যে জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেছে, এক সাগর রক্ত দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, অধিকারের জন্য এবং বিজয় লাভ করেছে। সে দেশের জনগণ স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসে আজ ন্যূনতম অধিকারও পাচ্ছে না। তারা তার পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার ক্ষমতা রাখছে না।
বর্তমান সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এত বড় ঠক মিথ্যাবাদী সরকার গত ৫২ বছরে এদেশের জনগণ আর প্রত্যক্ষ করেনি। আওয়ামী লীগ থেকে দাবি করা হয় তারা ক্ষমতায় এলে দেশের জনগণ কিছু পায়। এদেশ থেকে লাখ লাখ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে টাকা পাচার, দুর্নীতি গুম খুন ছাড়া আর কিছুই হয় না।
তিনি আরো বলেন, আমরা কর্মসূচি দিলেই সরকার বা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কর্মসূচি দেয়া হয়। বিরোধীদল যে সময় যে জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করে ঠিক সেই জায়গায় ওই সময় তারা কর্মসূচি ঘোষণা করে। এত বড় স্বৈরাচারী ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলেও দেখা যায়নি।
দুদু বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করছে। এই পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে এক দিন তাদের জন্য বেদনাদায়ক হয়ে দাঁড়াতে পারে। তখন সব দায়ভার এ সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নেই। আমরা কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করব। পার্লামেন্ট ইস্তফা দিবে। নতুন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। যত অস্ত্র নামে বেনামে দেয়া হয়েছে সমস্ত অস্ত্র রিকভারি করতে হবে। দলীয় পরিচয়ে যাদের অস্ত্র দেয়া হয়েছে সেগুলো রিকভারি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচারালয়সহ সবকিছু দলীয়করণ করা হয়েছে। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই সরকারের পতন অনিবার্য। এ সরকারের পতন ঘটতে হলে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, জিনাফের সভাপতি মিয়া মোঃ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, সংগঠনের সভাপতি মোখতার আকন্দ প্রমুখ।