বিপিএলের নবম আসরের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সেকে ১৭৬ রানের টার্গেট দিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফাইনালে টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন সিলেটের ওপেনার নাজমুল শান্ত। ইনিংসের প্রথম ওভারে আন্দ্রে রাসেলের বোলে তিনটি চার মারেন শান্ত। এরপর ওভারের শেষ বলে ওভার থ্রো থেকে আরও ৫ রান পায় সিলেট। প্রথম ওভারে ১৮ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই কুমিল্লাকে সাফল্য এনে দেন স্পিনার তানভির ইসলাম। দলীয় ১৮ রানে ২ বলে ০ রান করে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তৌহিদ হৃদয়। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা। এই ওভার থেকে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। এরপর ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফের বোলিংয়ে আসেন রাসেল। ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মারেন শান্ত। ওভারের শেষ বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কায়েসের হাতে ধরা পড়েন মাশরাফি। দলীয় ২৬ রানে ৪ বলে ১ রান করে ফিরে যান মাশরাফি।
মাশরাফির বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আবারো বোলিংয়ে আসেন তানভির। ওভারের প্রথম বলে মিস ফিল্ডিংয়ের সুবাদে চারের দেখা পান শান্ত। এই ওভার থেকে ৮ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে সুনিল নারিনকে বোলিংয়ে আনেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ওভারের তৃতীয় বলে চার মারেন শান্ত। ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ উঠলেও তা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হয় মোস্তাফিজ। এই ওভার থেকে ৬ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। এই ওভার থেকে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারে ৪ রান নেয় সিলেট। ইনিংসের অষ্টম ওভারের প্রথম বলে প্রথম বলে চার মারেন মুশফিক। ওভারে তৃতীয় বলে ফের জীবন পায় শান্ত। জীবন পেয়েই চতুর্থ বলে চার মারেন শান্ত। এই ওভারে ১১ রান সংগ্রহ করে সিলেট। ইনিংসের নবম ওভারে ৮ রান সংগ্রহ করে সিলেট। ইনিংসের দশম ওভারে দ্বিতীয় বলে চার মারেন মুশফিক। ওভারের পঞ্চম বলে চার মারেন শান্ত। এই ওভারে ১২ রান সংগ্রহ করে সিলেট। দশ পভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৯ রান সংগ্রহ করে সিলেট। ৩৮ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন শান্ত। অর্ধশতকের পর আরও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন শান্ত। তবে দলীয় ১০৫ রানে ৪৫ বলে ৬৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান শান্ত।
এরপর ক্রিজে আসা রায়ান বার্লকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিক। তবে দলীয় ১৩৪ রানে ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হন রায়ান বার্ল। অন্যদিকে সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিক। তবে ক্রিজে এসেই সাজঘরে ফিরে যান থিসারা পেরেরা। দলীয় ১৩৯ রানে ১ বলে রানের খাতা না খুলেই আউট হন পেরেরা। পেরেরার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জর্জ লিন্ডে। ইনিংসের ১৮ তম ওভারে পর পর দুই বলে জীবন পান লিন্ডে। তৃতীয় বলে চার মেরে পরের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান লিন্ডে। দলীয় ১৫২ রানে ৬ বলে ৯ রান করে ফিরে যান লিন্ডে। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন জাকির হাসান। একপাশে উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে নিজের সাবলীল ব্যাটিং চালিয়ে যান মুশফিক। ইনিংসের শেষ ওভারে বাউন্ডারি লাইন থেকে সরাসরি থ্রোতে স্ট্যাম্প ভেঙ্গে জাকিরকে সাজঘরে ফেরান মইন আলি।
শেষ ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকান মুশফিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। মুশফিক ৪৮ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। কুমিল্লার পক্ষে মোস্তাফিজ নেন সর্বোচ্চ ২টি উইকেট।