রাজধানীর নতুন গণপরিবহন মেট্রোরেলের স্টেশনের তালিকায় নতুন করে খুলে দেওয়া হলো ‘উত্তরা সেন্টার’ স্টেশন। এই নিয়ে মোট চার স্টেশনে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবা দেওয়া শুরু হলো। গতকাল শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় দিয়াবাড়ি থেকে ছেড়ে আসা মেট্রোরেলটি ‘উত্তরা সেন্টার’ স্টেশনে বিরতির মধ্য দিয়ে আজ থেকে মেট্রোরেল স্টেশনের তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি স্টেশন। এখন থেকে এই স্টেশনে উত্তরাবাসী যাত্রীরা মেট্রোরেলে ওঠানামা করতে পারবেন।
‘উত্তরা সেন্টার’ স্টেশন চালু হওয়ায় মেট্রোরেল পরিবহন খাতে বিশেষ সুবিধার আওতায় এলেন দিয়াবাড়িতে নির্মিত উত্তরা তৃতীয় পর্বে গড়ে ওঠা রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের বাসিন্দারা। এই প্রকল্পের ব্যয় ৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পে রয়েছে ছয় হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট। এসব ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা মাত্র ১০ মিনিট পথ পায়ে হেঁটেই ‘উত্তরা সেন্টার’ স্টেশনে পৌঁছাতে পারবেন। ডিএমটিসিএল- এর তথ্য মতে, উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রুটে মোট স্টেশনের সংখ্যা ৯টি। এর মধ্যে চালু ছিল আগারগাঁও, পল্লবী ও উত্তরা উত্তর- এ তিনটি স্টেশন। ‘উত্তরা সেন্টার’ স্টেশনটি চালু হওয়ায় বর্তমানে চারটি স্টেশন জনগণের জন্য উন্মুক্ত হলো। পর্যায়ক্রমে উত্তরা সাউথ, মিরপুর-১১, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশন যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা শহরের যানজট এড়াতে প্রায় সাড়ে ছয় বছর আগে উত্তরায় দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পর দিন ২৯ ডিসেম্বর থেকে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। এরপর থেকে মেট্রোরেল প্রতিদিন উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করছে। এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দৈর্ঘ্য ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা-জাইকার ঋণ ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।