তৃণমূলে আন্দোলন আরও ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। জনগণের স্বপ্নভঙ্গকারী অবৈধ এ সরকারকে সরাতেই হবে। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের বিদায় করতে হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রংপুর বিভাগের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা শুরু হয়। এতে রংপুর বিভাগের বিএনপি সমর্থিত স্থানীয় সরকার, ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগারে। মিথ্যা মামলায় তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি চার বছর ধরে প্রথমে কারাগারে, পরে গৃহবন্দি। বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবুও দেশকে রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেছি। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরায় বহাল করতে হবে। সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অস্তিত্বের সংকট চলছে। ১৪ বছর ধরে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংস করেছে। প্রতিনিয়ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ নষ্ট করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণ নির্বাচন বিমুখ হয়ে যাচ্ছে।’ মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘ভিন্নমত দমনে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তেল-গ্যাস-সার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। সরকারের দুর্নীতির কারণে এসব হচ্ছে।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে এ মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়েছেন। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব দুলু, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ।