কুষ্টিয়া পৌর এলাকার দশটি হাটবাজারের দরপত্র দাখিলের সময় একটি পক্ষ একজন ঠিকাদারের দরপত্র কেড়ে নিয়ে ছিড়ে ফেলে দেন। এমনকি সেখানে ঠিকাদারকে মারধরের ঘটনাও ঘটে বলে জানা যায়। এ ঘটনার জের ধরে, ঠিকাদার ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় আ’লীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবকলীগের ছয় নেতার নাম উল্লেখ করে ২০ থেকে ২৫ জনের নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করে। মামলাটি মিথ্যা এমন প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে মডেল থানা মোড়ে মানববন্ধন করেছে আ’লীগ অঙ্গ সহযোগী নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা যোগদান করে বলেন, যে মামলা করা হয়েছে তাহা উদ্দেশ্য প্রনীত, আ’লীগ সহযোগী নেতাদের ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে তাদের দাবী। সে লক্ষ্যে তারা সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রায় দুঘন্টা ব্যাপী শহরের এন এস রোডে মানববন্ধন করে। এবং মানববন্ধনে উপস্থিত নেতারা তাদের বক্তব্য বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলা তুলে না নিলে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার গুশিয়ারি দেন। এছাড়াও দাবী করেন যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এসময় স্কুল কলেজের ছাত্র নেতা নেত্রীকর্মী বাহিনীদের সাথে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন। যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা কোন ভাবেই জড়িত নয় বলে ছাত্র নেতারা দাবী করে। যারা প্রকৃত পক্ষে দোষী তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান। মানববন্ধনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান লাবু, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব বাদশা, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও শিক্ষানবীশ এ্যাড. মিজানুর রহমান মিজু, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপিত আদিপুজ্জামান সংগ্রাম প্রমূখ। উল্লেখ, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া পৌর সভা কার্যালয়ে উক্ত ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী ঠিকাদার ২৪ ফেব্রুয়ারি বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন। এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার রুজু হয়। মামলাটি রুজু হওয়ার পরে মানববন্ধন করেন আ’লীগ সহ সহযোগী সংগঠন।