বাড়ির আঙিনা থেকে শুরু করে যেকোনও খালি জায়গার যথোপযুক্ত ব্যবহারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবহিকতায় দুর্গাপুর উপজেলায় মুজিবর্ষ উপলক্ষে দেয়া ৫টি আবাসন প্রকল্প গুলোতে সবজি চাষের উদ্দ্যেগ গ্রহন করলেন ইউএনও রাজীব-উল-আহসান। গতকাল শনিবার সকালে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মিনকি আবাসন এলাকাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই আবাসনে প্রায় ৬০টি পরিবার রয়েছে। আবাসনের আশ-পাশে রয়েছে অনেক খালি জায়গা। আবাসন এলাকার দরিদ্র মানুষ গুলোর পুষ্টি চাহিদা মেটানোর পাশপাশি বিক্রি করার মতো শাক-সবজি ফলিয়েছে তারা। এর জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর থেকে বিনামুল্যে বীজ বিতরণ, প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেয়া সহ নানাবিধ দেখভালের ব্যবস্থাও করিয়েছেন তিনি। আবাসনে বসবাসরত পুরুষ লোকগুলো নানামুখী কাজ করে থাকে, সেইসাথে নারীদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সব্জিচাষে উদ্ভুদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন ইউএনও রাজীব-উল-আহসান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আবাসন গুলোতে ঘর তৈরী করার সময় ইউএনও স্যার সব সময়ই একটু খালি জায়গা রাখার কথা বলতেন। ওখানে কৃষি পরিকল্পনা করার মাধ্যমে পরিবার গুলোকে পুষ্টি চাহিদা পুরণ করার যে উদ্দ্যেগ নিয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ইউএনও স্যারের সাথে আবাসন গুলোতে নানামুখি কৃষি পরিকল্পনায় যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং আবাসন এলাকার হত-দরিদ্র মানুষ গুলোর পুষ্টি চাহিদা পুরণে সহায়তা করা, নারীদের কৃষি নিয়ে কাজে লাগাতে আমার দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তাগন সব সময়ই সহায়তা করেছেন, আমি ওনাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ। ইউএনও রাজীব-উল-আহসান সাংবাদিকদের বলেন, কারও এক ইঞ্চি জমি যেন খালি পড়ে না থাকে। প্রত্যেকেই যেন ওই জমিতে কাজ করে। যেখানেই খালি জায়গা, সেখানেই উৎপাদনমুখী কাজ করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশকে মাথায় রেখে, দুর্গাপুর উপজেলার ৫টি আবাসনের খালি জায়গা গুলো নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা শুরু করি। একদিকে যেমন আবাসনে বসবাসরত সাধারণ মানুষের পুষ্টি চাহিদা মিটবে, অন্যদিকে সবজি বিক্রি করে বারতি আয় হবে তাদের। এ কাজে সহায়তা করতে সকলকে আহবান জানান তিনি।