ভোজ্যতেল উৎপাদনের মাধ্যমে খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন এলাকার পতিত জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। কৃষকের সূর্যমুখী ক্ষেতগুলো এখন দৃষ্টিনন্দন ফুল বাগানে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত মহাসড়কের পাশের সূর্যমুখী ক্ষেতগুলোতে আগত দর্শনার্থীদের চাঁপ সামাল দিতে ও দর্শনার্থীদের হাত থেকে ক্ষেতের ফুল রক্ষা করতে ক্ষেতের পাশে গ্রামপুলিশ দিয়ে পাহারা বসানো হয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশের বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বেজহার এলাকার। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের খন্ড খন্ড পতিত জমিতে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন সূর্যমুখীর হলুদ ফুল। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় সর্বত্র সূর্যমুখীর ফলন ভাল হয়েছে। ফলে সূর্যমুখীর মতোই কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। সূত্রমতে, নয়নাভিরাম ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে গত কয়েকদিন ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কৃষকের সূর্যমুখী ক্ষেতে ভীর করছেন বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার মানুষ। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ফুলের সাথে তোলা হচ্ছে সেলফি। এরমধ্যে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে বেজহার এলাকার কৃষক আব্দুল লতিফের একটি সূর্যমুখী ক্ষেতে সবচেয়ে বেশি ভীর করছেন ফুলপ্রেমীরা। এসব ফুল প্রেমীরা সূর্যমুখী ক্ষেত থেকে ফুল ছিড়ে নিয়ে যাচ্ছিলো। কোনক্রমেই তা রক্ষা করতে পারছিলো না কৃষক আব্দুল লতিফ। পরবর্তীতে তিনি মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর সার্বিক সহযোগিতা চান। নিরুপায় হয়ে চেয়ারম্যান কৃষকের ক্ষেত রক্ষায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনজন গ্রামপুলিশ দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে কৃষকের সূর্যমুখী বাগানকে রক্ষা করা হচ্ছে। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এক টুকরো জমি থাকবেনা অনাবাদি, প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিভিন্ন চাষাবাদের ওপর উৎসাহিত করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা হয়। যেকারণে এবার কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে বেশি ঝুঁকেছেন। তিনি আরও বলেন, গত বছর এ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিলো। চলতি বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হেক্টর হয়েছে।