ডিমলায় ঝরে পড়া মেয়ে শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় সরকারসহ সরকারী কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৬-মার্চ) বিকালে পল্লীশ্রীর আয়োজনে ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টারে প্রকল্পের এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হালিম। এসময় সভাপতি বলেন, ঝরে পড়া মেয়ে শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা বিষয় প্রকল্পটির ব্যাপক প্রচারণায় এলাকায় মেয়ে শিশুদের পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার বয়স হয়েছে, এমন ৯৭ ভাগের বেশি শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এখন স্কুলে যাচ্ছে। এছাড়াও প্রাথমিকে ঝরে পড়ার হারও কমে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ স্তরেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ঝরে পড়া মেয়ে শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা কর্মসূচির ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মাসুদা আক্তার পারভীনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী পুরান চন্দ্র বর্মন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, সারা দেশের সাথে এই উপজেলায়ও অধিকাংশ ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেতো, যাদের বাল্যবিবাহ হতো, তাদের অধিকাংশেরই কাবিননামা থাকতোনা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, কাবিননামা নেওয়ার আগেই অনেক মেয়ে নির্যাতিত হয়ে সন্তান নিয়ে ফেরত আসে। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন আমরা এলাকায় ঝড়ে পড়া মেয়ে শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে ও বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণভাবে রোধ করতে উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষক প্রতিনিধি, শিক্ষা অফিসার ও স্থানীয় সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এসময় বাল্যবিবাহের কারণ, শিশু শ্রম এবং ঝরে পড়া মেয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুল না যাওয়ার কারণ গুলে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, সুন্দরখাতা স্কুল এন্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, ডিমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান, ডালিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান, দোহলপাড়া আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মকবুল হোসেন, সোনাখুলি হাজী জহরতুল্যাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মুয়ীদ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম ও উপজেলা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রোগ্রাম ম্যানাজার সন্তোষ কুমার স্বপন। বক্তারা বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু কন্যা শিশুরা বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, পেয়েছে আবার স্কুলে ফিরি যাবার সুযোগ, সর্বপরি ঝরে পড়া মেয়ে শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে আনা কর্মসূচির সকল কার্যক্রমের প্রসংশা করেন বক্তারা।