সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ অপরাহ্ন

শিক্ষার্থী হেনস্থার পর প্রভোস্টকেও শাসালেন কুবি ছাত্রলীগ নেত্রী ফাইজা

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) হলে আসন বরাদ্দের বিষয়ে হলের প্রভোস্ট মো: সাহেদুর রহমানকে শাসানোর অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী ফাইজা মাহজাবিনের বিরুদ্ধে। গত শনিবার সন্ধ্যায় হলের প্রভোস্টর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, হল প্রশাসন কর্তৃক বরাদ্দকৃত এক শিক্ষার্থীর সিটে অন্য শিক্ষার্থীকে তুলেন ফাইজা। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট তার কাছে জানতে চাইলে উভয়ের মাঝে তর্কবিতর্ক ঘটে। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট মো: সাহেদুর রহমান অভিযোগ করেন, হল প্রশাসন শিক্ষার্থী প্রেয়সী সানাকে ২১৬ নম্বর কক্ষের ওই সিটে বরাদ্দ দিয়েছে। সানা সিটে উঠতে গিয়ে ৩০৬ নম্বর কক্ষের আনজুমকে দেখে আমার কাছে অভিযোগ করলে সিট পরিবর্তন করার বিষয়ে জানতে চাই। তখন ফাইজা এসে আমাকে বলে, ‘আমি হলের সভাপতি। আমি যাকে যেখানে সিট দেবো, সে সেখানে থাকবে।
তবে প্রভোস্টের অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী ফাইজা মাহজাবিন বলেন, স্যারের সাথে আমার বিতর্ক হয়েছে মাত্র। বেয়াদবি হওয়ার মতো কিছু হয়নি। আমার ওপর উনার আগের ক্ষোভ থাকায় বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। ফাইজা বলেন, ‘হল প্রভোস্ট প্রায় সময়ই হুটহাট আমার রুমে ঢুকে যায়, মেয়েদের রুমে ঢুকে তাদের লকার চেক করে। এ বিষয়ে ওনাকে বেশ কয়েকবার বলায় তিনি আমার ওপর ক্ষেপে আছেন। সেই পুরনো ক্ষোভের কারণেই বিষয়টিকে এখন ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট মো. সাহেদুর রহমান বলেন, ‘আমি কোনো রুমে ঢুকতে চাইলে আগে থেকেই জানিয়ে রাখি। বিভিন্ন রুমের নষ্ট লকার ঠিক করতে দেয়া হয়েছিল, সেগুলো ঠিক করা হয়েছে কি না-তা চেক করেছি।’
শিক্ষার্থী হয়ে আপনি অন্য কাউকে সিট দিতে পারেন কি না- এমন প্রশ্নে ফাইজা বলেন, ওই সিটটি প্রায় আট মাস খালি ছিল। এই ফ্লোরে সব সিনিয়ররা থাকায় আনজুমকেও এখানে আসতে বলি। প্রশাসন সেখানে অন্য কাউকে বরাদ্দ দেয়ার বিষয়ে আগে থেকে আমি কিছু জানতাম না। আমি স্যারের কাছে আনজুমকে সেখানে থাকতে দেয়ার অনুরোধ করেছি মাত্র। আমার বিরুদ্ধে হলের ফি না দেয়ারও অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ আমি ফি দিয়েই হলে থাকছি। এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, তাকে (ফাইজা মেহজাবিন) দায়িত্ব দিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সাধারণ মেয়েদের সমস্যা সমাধান করার জন্য। সে যদি ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে অন্যায় কিছু করে থাকে, আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। তবে ছাত্রলীগের হল ইউনিটের সভাপতি হিসেবে সে কোনো অসহায় শিক্ষার্থীকে সিটে উঠাতেই পারে।
উল্লেখ্য, ফাইজার বিরুদ্ধে এর আগেও বাসের সিটে জোর করে আসন দখল করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলমকে থাপ্পড় মারার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি হলে উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ডসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলেও জানা যায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com