মতুয়া সম্প্রদায়ের উপস্য শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ প্রদর্শণ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ গুরুচাঁদ সেবা সংঘ। বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় হাজার হাজার ক্ষুব্ধ মতুয়া মমতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করে। সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, সেবা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সুবল রায় ও সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিজন বিশ^াসসহ আরো অনেকে। বক্তরা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মালদহে এক জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হরিচাঁদ ঠাকুরের নাম রঘুচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম গরুচাঁদ উচ্চারণ ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন। মমতার এমন ধৃষ্টতায় ১০ কোটি মতুয়া ক্ষিপ্ত হয়েছে! অল ইনডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তারা বলেন, মমতাকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এনেছিলেন বড় “মা” বীণাপানি দেবী। কিন্তু মমতা বড় মায়ের মান রাখেননি। তাই আপনি এমন ব্যবস্থা করে দেবেন যেন, মমতা যেভাবে মতুয়াদের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন, ঠিক সেইভাবে মতুয়াদের কাছে ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হয়। এর আগে মুক্তিবারিধী শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের ১৭৭তম জন্ম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালীবাড়িতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। হরিচাঁদ গুরুচাঁদ সেবা সংঘের সভাপতি প্রমথ রঞ্জন বিশ^াসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কালীবাড়ীর আহবায়ক সরোজ কান্তি বিশ^াস খোকন, গণমুক্তি পত্রিকার সম্পাদক এ্যাডভোকেট উৎপল বিশ^াস সহ অনেকে। পরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে জন্মবার্ষিকীর শোভাযাত্রার শুভ সূচনা করেন মতুয়াচার্য সুব্রত ঠাকুর। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় গোপালগঞ্জসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে আগত হাজার হাজার মতুয়া ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রাটি শহরে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কালীবাড়িতে শেষ হয়। সেখানে আগত ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।