সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ অপরাহ্ন

বোরো ধানের চারা ভালো হওয়ায় চির সবুজের বুকে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে

রিয়াদ ইসলাম (জলঢাকা) নীলফামারী:
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

নীলফামারী জলঢাকা উপজেলায় মাঠ জুড়ে বোরো ধানের ক্ষেত এখন সবুজে সমারোহ। যেদিকে দু-চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।এ যেন প্রকৃতির এক অপরুপ সুন্দর্য। বাতাসে দোল খাচ্ছে চির সবুজের বুকে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। বোরো ধানের চারা ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, পৌর এলাকায় সহ উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, বালাগ্রাম, শৌলমারী কৈমারী, খুটামারা, মীরগঞ্জ, ধর্মপাল, কাঁঠালী ইউনিয়নে কেউ ধান খেতের আগাছা পরিষ্কার করছে, কেউ বা আবার আগাছা পরিষ্কার শেষে সার প্রয়োগ করছে,কেউ পোকা মাকড় নিধন করার জন্য কীটনাশক স্প্রে করছে। পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকেরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী সময়মতো জমি চাষ,ধানের চারা রোপণ সার ও কীটনাশক প্রায়োগ করছেন বলে জানান কৃষকেরা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না ঘটে তাহলে এবার বোরোধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন উপজেলার কৃষকেরা।এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সবুজ ধান ক্ষেত জানান দিচ্ছে সবুজের সমারোহ। মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ ধানের চারা। মাত্র একমাস আগে বোরো ধানের চারা রোপণ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এক মাসের ব্যবধানে বেড়ে উঠেছে এসমস্ত বোরোধানের চারা। আগে বোরো ধান রোপণ হতো সম্পূর্ণ কৃষকদের সেচ পাম্প দিয়ে। এতে ধান উৎপাদনে বাড়তি খরচ হতো কৃষকদের। কিন্তু এ বছর উপজেলায় বোরো ধানের আবাদ শুরু হওয়ার আগে সেচ প্রকল্পের পানি ছেড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সময়মতো সেচ প্রকল্পের পানি ছাড়ায় এবং ক্যানেলের ক্যানায় ক্যানায় পানিতে ভরপুর থাকায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসি। ক্যানেল ও নালা সমুহের গেট খুলে দেওয়ায় ফসলের জমিতে প্রবেশ করেছে পানি। আর পানি সংকট না থাকায় পানিতে ভরপুর পুরো বোরো ধান ক্ষেত। এতে এ বছর বোরো ধানচাষির সংখ্যাও বেড়েছে।এর ফলে বেঁচে গেছে কৃষকদের সেচ খরচও। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এবার উপজেলায় ১৪ হাজার ৬শত ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার ৯ শত ৭০ মেট্রিকটন। এছাড়া সরকারি প্রণোদনা ও কর্মসূচির আওতায় উপজেলা ও পৌরসভা সহ ১১টি ইউনিয়নে হাইব্রিড-৩৪৫০ জন এবং উফসি-৩৪৫০ জন কৃষক পরিবারকে ধানের বীজসহ সার সহায়তা দেওয়া হয়েছিল। কৃষকদের নানাভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।ধান রোপণের বিষয়ে উপজেলার কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হলে জানা যায়, বোরো ধান আবাদ মনেই মাঠে কাজে ব্যস্ত থাকা। এখন বোরো ধান পরিচর্যার কাজ চলছে। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাঠেই কাজ করতে হয়। বর্তমানে বোরোধান গাছের চারা সতেজ হয়ে উঠছে। আগাছা নিড়ানোর কাজ ও শেষ হয়েছে এখন সার প্রয়োগের সময় চলছে। গতবছরের চেয়ে এবার ধানের চারার চেহারাও বেশ ভালো। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। এবিষয়ে জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ এর সাথে দৈনিক খবরপত্রের একান্ত সাক্ষাৎকার হলে তিনি জানান, আমরা অল্প জমিতে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক ফলনের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। এ উপজেলায় বোর ধানের আবাদ বেশ ভালো হয়ে থাকে। বর্তমানে কৃষকেরা বোরো ধান পরিচর্যায় ব্যস্ত আছে। উপজেলার প্রতিটি ক্ষেতে বোর ধান গাছের চারা বেশ ভালো দেখা যাচ্ছে। যদি কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে এবার ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছি। আমাদের লোকজন সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে। সেই সঙ্গে প্রণোদনা ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে ধান চাষ বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com